ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় ছিনতাইয়ের পর চালককে হত্যা, নিখোঁজের ৯ দিন পর মিলল অর্ধগলিত মরদেহ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৯ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার শেরপুরে নিখোঁজের নয়দিন পর আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৭) নামের এক অটোরিকশা চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাগড়া তালপুকুর পাড়ার এক জলাশয় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ বলছে, একটি চক্র অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর চালককে হত্যার করে মরদেহ জলাশয়ে ফেলে রেখে যায়। স্বজনরা জানান, গত ৩০ আগস্ট একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে নিজের অটোরিকশায় নতুন ব্যাটারি সংযোজন করেন আবু বক্কর। এরপর সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষে অটোরিকশা নিয়ে কাজে বের হন আবু বক্কর। কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরায় পরদিন ২ সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী মালা বেগম শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওইদিন শেরপুরের ঘোগাবটতলা এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বক্করের অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর ধুনটের মথুরাপুর বাজার থেকে। অটোরিকশার চাকা ও ব্যাটারিও উদ্ধার করা হয়। তবে খোঁজ মিলছিল না বক্করের। আজ দুপুরে শেরপুরের বাগড়া তালপুকুর পাড়ার জলাশয় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা৷ পরে মরদেহ দেখে বক্করের পরিচয় শনাক্ত করে স্বজনেরা। শেরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর ঘাঁরে গুরুতর আঘাতের পর চালক বক্করকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ইতিমধ্যে চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় ছিনতাইয়ের পর চালককে হত্যা, নিখোঁজের ৯ দিন পর মিলল অর্ধগলিত মরদেহ

আপডেট সময় ০৮:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বগুড়ার শেরপুরে নিখোঁজের নয়দিন পর আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৭) নামের এক অটোরিকশা চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাগড়া তালপুকুর পাড়ার এক জলাশয় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ বলছে, একটি চক্র অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর চালককে হত্যার করে মরদেহ জলাশয়ে ফেলে রেখে যায়। স্বজনরা জানান, গত ৩০ আগস্ট একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে নিজের অটোরিকশায় নতুন ব্যাটারি সংযোজন করেন আবু বক্কর। এরপর সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষে অটোরিকশা নিয়ে কাজে বের হন আবু বক্কর। কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরায় পরদিন ২ সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী মালা বেগম শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওইদিন শেরপুরের ঘোগাবটতলা এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বক্করের অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর ধুনটের মথুরাপুর বাজার থেকে। অটোরিকশার চাকা ও ব্যাটারিও উদ্ধার করা হয়। তবে খোঁজ মিলছিল না বক্করের। আজ দুপুরে শেরপুরের বাগড়া তালপুকুর পাড়ার জলাশয় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা৷ পরে মরদেহ দেখে বক্করের পরিচয় শনাক্ত করে স্বজনেরা। শেরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর ঘাঁরে গুরুতর আঘাতের পর চালক বক্করকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ইতিমধ্যে চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।