ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলফাডাঙ্গায় বিএনপির কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করলেন আওয়ামী লীগ নেতা, দলে সমালোচনার ঝড়

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির একটি কর্মিসভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতা, যা ঘিরে সংগঠনের ভেতরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এতে বিএনপির স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ।

গত শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় বেজিডাঙ্গা আমেনা ওয়াহেদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন মনিরুল ইসলাম মাসুদ মাস্টার। তিনি ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নৌকার প্রার্থীরাও এখন বিএনপি করতে পারে। রাজনীতির বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। মাসুদকে মাত্র ৬২ ভোটে জোর করে হারানো হয়েছিল, তিনি জনপ্রিয় নেতা—তাকে বাদ দেওয়া ঠিক হবে না।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা, যিনি উপজেলা যুবলীগের রানা-সাইফার কমিটির সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজার ভাতিজা।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা বলেন, “সংগঠনের বাইরের কাউকে দলীয় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করতে দেওয়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলার চরম লঙ্ঘন। এটি আদর্শভ্রষ্টতার শামিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না”—ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

আলফাডাঙ্গায় বিএনপির কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করলেন আওয়ামী লীগ নেতা, দলে সমালোচনার ঝড়

আপডেট সময় ০৭:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির একটি কর্মিসভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতা, যা ঘিরে সংগঠনের ভেতরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এতে বিএনপির স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ।

গত শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় বেজিডাঙ্গা আমেনা ওয়াহেদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন মনিরুল ইসলাম মাসুদ মাস্টার। তিনি ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নৌকার প্রার্থীরাও এখন বিএনপি করতে পারে। রাজনীতির বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। মাসুদকে মাত্র ৬২ ভোটে জোর করে হারানো হয়েছিল, তিনি জনপ্রিয় নেতা—তাকে বাদ দেওয়া ঠিক হবে না।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা, যিনি উপজেলা যুবলীগের রানা-সাইফার কমিটির সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজার ভাতিজা।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা বলেন, “সংগঠনের বাইরের কাউকে দলীয় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করতে দেওয়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলার চরম লঙ্ঘন। এটি আদর্শভ্রষ্টতার শামিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”