ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে এডিবি–অর্থায়িত বায়োটেক রিসার্চ সেন্টার স্থাপনে আপত্তি পিনাকী ভট্টাচার্যের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৫৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৫৫ বার পড়া হয়েছে

 

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সরকারি এসেনশিয়াল ড্রাগসের বায়োটেক রিসার্চ সেন্টারের প্রস্তাবিত গোপালগঞ্জ প্রকল্পটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।

পোস্টে পিনাকী লিখেন, গোপালগঞ্জে এ ধরনের হাইটেক রিসার্চ সেন্টার স্থাপন বাস্তবসম্মত নয়। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—এখানে আন্তর্জাতিকমানের গবেষক ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা কাজ করবেন, যাদের জন্য প্রয়োজন ভালো স্কুল-কলেজ, মানসম্মত হাসপাতাল ও উপযুক্ত শহুরে সুবিধা। এসব সুবিধা না থাকলে বিশেষজ্ঞরা সেখানে কাজ করতে আগ্রহী হবেন না।

তিনি আরও বলেন, বায়োটেক গবেষণাগারের সাপ্লাই চেইন, বায়োসেফটি রেগুলেশন, টেম্পারেচার–সেন্সেটিভ উপকরণ পরিবহন এবং জরুরি সাপোর্ট টিম—এসবই মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত লজিস্টিক ব্যবস্থাপনাও বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এছাড়া স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি, যা গোপালগঞ্জে সীমিত।

পিনাকীর মতে, হাইটেক যন্ত্রপাতির সার্ভিসিং, বায়োসেফটি রেসপন্স টিম এবং বিশেষজ্ঞ সহায়তার বড় অংশ ঢাকায় অবস্থান করেন। তাই ঢাকা ছাড়া হলে সাভার, গাজীপুর বা নারায়ণগঞ্জের মতো শহরে প্রকল্পটি স্থাপন করা যৌক্তিক। তিনি বলেন, “হাসিনার আমলে এভাবেই কোনোরূপ পরিকল্পনা ছাড়া প্রকল্প নেওয়া হতো। অবিলম্বে এ প্রকল্পের স্থান পরিবর্তন করা দরকার।”


 

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জে এডিবি–অর্থায়িত বায়োটেক রিসার্চ সেন্টার স্থাপনে আপত্তি পিনাকী ভট্টাচার্যের

আপডেট সময় ১১:৫৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

 

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সরকারি এসেনশিয়াল ড্রাগসের বায়োটেক রিসার্চ সেন্টারের প্রস্তাবিত গোপালগঞ্জ প্রকল্পটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।

পোস্টে পিনাকী লিখেন, গোপালগঞ্জে এ ধরনের হাইটেক রিসার্চ সেন্টার স্থাপন বাস্তবসম্মত নয়। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—এখানে আন্তর্জাতিকমানের গবেষক ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা কাজ করবেন, যাদের জন্য প্রয়োজন ভালো স্কুল-কলেজ, মানসম্মত হাসপাতাল ও উপযুক্ত শহুরে সুবিধা। এসব সুবিধা না থাকলে বিশেষজ্ঞরা সেখানে কাজ করতে আগ্রহী হবেন না।

তিনি আরও বলেন, বায়োটেক গবেষণাগারের সাপ্লাই চেইন, বায়োসেফটি রেগুলেশন, টেম্পারেচার–সেন্সেটিভ উপকরণ পরিবহন এবং জরুরি সাপোর্ট টিম—এসবই মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত লজিস্টিক ব্যবস্থাপনাও বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এছাড়া স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি, যা গোপালগঞ্জে সীমিত।

পিনাকীর মতে, হাইটেক যন্ত্রপাতির সার্ভিসিং, বায়োসেফটি রেসপন্স টিম এবং বিশেষজ্ঞ সহায়তার বড় অংশ ঢাকায় অবস্থান করেন। তাই ঢাকা ছাড়া হলে সাভার, গাজীপুর বা নারায়ণগঞ্জের মতো শহরে প্রকল্পটি স্থাপন করা যৌক্তিক। তিনি বলেন, “হাসিনার আমলে এভাবেই কোনোরূপ পরিকল্পনা ছাড়া প্রকল্প নেওয়া হতো। অবিলম্বে এ প্রকল্পের স্থান পরিবর্তন করা দরকার।”