ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাককানইবি উপাচার্যের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ একাধিক কর্মকর্তা ও সাবেক দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং সাবেক দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপাচার্যের দপ্তরে প্রবেশ করে নিয়োগ–সম্পর্কিত বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর (সফটওয়্যার) প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, সহকারী পরিচালক (অর্থ) এস এম কাউসার আহমেদ, প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর (হার্ডওয়্যার) মোস্তাক আহম্মেদসহ ১০–১২ জন কর্মকর্তা এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরহাদ আহমেদ ও তানভীর আহমেদ উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ‘জামায়াতপন্থীদের প্রাধান্য’ এবং তদন্ত কমিটিতে ‘বিতর্কিতদের’ অংশগ্রহণের অভিযোগ তোলেন। কথোপকথনের একপর্যায়ে তারা উচ্চস্বরে কথা বলেন এবং আসন্ন ২৪ নভেম্বরের প্রকিউরমেন্ট অফিসার নিয়োগে নিজেদের প্রার্থীকে বাছাই করার চাপ প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার সময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। প্রক্টর বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার যে ভঙ্গি দেখা গেছে, তা কাম্য নয়। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জানান, অসদাচরণের মতো কিছু ঘটেনি, তবে তাদের কণ্ঠস্বর উঁচু ছিল।

অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন ধরেননি। তবে সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শুধুমাত্র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ‘আওয়ামীপন্থী ও বিতর্কিতদের’ রাখা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। তানভীর আহমেদ জানান, সাংবাদিকতার প্রয়োজনে তিনি উপাচার্যের কক্ষে গিয়েছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাকে পক্ষপাতদুষ্ট নিয়োগের অভিযোগ জানানো হয়, তবে নিয়োগ কমিটির একজন সদস্য হিসেবে একার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। লিখিত–মৌখিক পরীক্ষা এবং কমিটির সুপারিশই নিয়োগ নির্ধারণ করে। চাপ প্রয়োগের অভিযোগ সম্পর্কেও তিনি ইঙ্গিত দেন। ঘটনাটি প্রশাসনিকভাবে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নভেম্বরে ১৯ দিনে প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার

জাককানইবি উপাচার্যের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ একাধিক কর্মকর্তা ও সাবেক দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৯:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং সাবেক দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপাচার্যের দপ্তরে প্রবেশ করে নিয়োগ–সম্পর্কিত বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর (সফটওয়্যার) প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, সহকারী পরিচালক (অর্থ) এস এম কাউসার আহমেদ, প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর (হার্ডওয়্যার) মোস্তাক আহম্মেদসহ ১০–১২ জন কর্মকর্তা এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরহাদ আহমেদ ও তানভীর আহমেদ উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ‘জামায়াতপন্থীদের প্রাধান্য’ এবং তদন্ত কমিটিতে ‘বিতর্কিতদের’ অংশগ্রহণের অভিযোগ তোলেন। কথোপকথনের একপর্যায়ে তারা উচ্চস্বরে কথা বলেন এবং আসন্ন ২৪ নভেম্বরের প্রকিউরমেন্ট অফিসার নিয়োগে নিজেদের প্রার্থীকে বাছাই করার চাপ প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার সময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। প্রক্টর বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার যে ভঙ্গি দেখা গেছে, তা কাম্য নয়। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জানান, অসদাচরণের মতো কিছু ঘটেনি, তবে তাদের কণ্ঠস্বর উঁচু ছিল।

অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন ধরেননি। তবে সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শুধুমাত্র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ‘আওয়ামীপন্থী ও বিতর্কিতদের’ রাখা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। তানভীর আহমেদ জানান, সাংবাদিকতার প্রয়োজনে তিনি উপাচার্যের কক্ষে গিয়েছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাকে পক্ষপাতদুষ্ট নিয়োগের অভিযোগ জানানো হয়, তবে নিয়োগ কমিটির একজন সদস্য হিসেবে একার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। লিখিত–মৌখিক পরীক্ষা এবং কমিটির সুপারিশই নিয়োগ নির্ধারণ করে। চাপ প্রয়োগের অভিযোগ সম্পর্কেও তিনি ইঙ্গিত দেন। ঘটনাটি প্রশাসনিকভাবে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।