ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পে ছেলের মৃত্যুর ৫ ঘণ্টা পর বাবাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬৯১ বার পড়া হয়েছে

 

 

নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় ভূমিকম্পের ঘটনায় বাসার সানশেড ভেঙ্গে মো. উজ্জ্বল হোসেন (৪০) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে তার ছেলে ওমরের (১১) মৃত্যু হয় এদিন দুপুর একটার দিকে।

 

 

নিহত উজ্জলের ভাই মো. জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাই নরসিংদী পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করতো। সকালের দিকে নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় ভূমিকম্পের সময় বাসা থেকে তার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে দ্রুত বের হওয়ার সময় বাসার সানশেড তাদের শরীরের ওপর ভেঙে পড়ে।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের চারজনকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ওখান থেকে আমার ভাই ও ভাতিজাকে দ্রুত ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে আমার ভাতিজা তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন ও আমার ভাইকে প্রথমে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার (ওসেকে) ও পরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।

 

তিনি বলেন, আমার ভাতিজা নরসিংদীর জামিয়া কামিয়া মাদরাসায় হেফজ পড়তো। আমাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার উত্তরপাড়া গ্রামে।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শাজাহান খানের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পাহারায় যুবদল নেতা

ভূমিকম্পে ছেলের মৃত্যুর ৫ ঘণ্টা পর বাবাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

 

 

নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় ভূমিকম্পের ঘটনায় বাসার সানশেড ভেঙ্গে মো. উজ্জ্বল হোসেন (৪০) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে তার ছেলে ওমরের (১১) মৃত্যু হয় এদিন দুপুর একটার দিকে।

 

 

নিহত উজ্জলের ভাই মো. জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাই নরসিংদী পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করতো। সকালের দিকে নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় ভূমিকম্পের সময় বাসা থেকে তার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে দ্রুত বের হওয়ার সময় বাসার সানশেড তাদের শরীরের ওপর ভেঙে পড়ে।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের চারজনকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ওখান থেকে আমার ভাই ও ভাতিজাকে দ্রুত ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে আমার ভাতিজা তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন ও আমার ভাইকে প্রথমে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার (ওসেকে) ও পরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।

 

তিনি বলেন, আমার ভাতিজা নরসিংদীর জামিয়া কামিয়া মাদরাসায় হেফজ পড়তো। আমাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার উত্তরপাড়া গ্রামে।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।