ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত হাসিনাকে ফেরত দিতে বাধ্য: মুনিরুজ্জামান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭২৯ বার পড়া হয়েছে

 

 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মুনিরুজ্জামান বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ভারত প্রায় আইনগতভাবেই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য।

 

শনিবার (২২ নভেম্বর) ঢাকায় বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের এক অধিবেশনে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় ভারত প্রায় আইনগতভাবেই তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য।

 

 

তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে ভারতকে বাংলাদেশের আইনগত প্রক্রিয়াকে সম্মান জানিয়ে বিলম্ব ছাড়াই হাসিনাকে ফেরত পাঠানো উচিত।

 

 

তিনি আরও বলেন, যদি ভারত আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন, নীতি ও শৃঙ্খলাকে সম্মান করে, তবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে তাদের বাংলাদেশের আইনগত ব্যবস্থাকেও সম্মান জানানো উচিত।

 

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামান বলেন, হাসিনার বিচার আন্তর্জাতিক আইনগত মানদণ্ড পূরণ করেছে। আর এটাই এমন একটি আইনগত ব্যবস্থা যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্মান করা উচিত। যদি সেই সম্মান থাকে, তবে সব দিক থেকেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত, বলেন তিনি।

 

মুনিরুজ্জামান প্রশ্ন তোলেন, যদি বাংলাদেশ দণ্ডিত ভারতীয় নাগরিকদের আশ্রয় দিত এবং আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও ফেরত না পাঠাত, তবে ভারত কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাত।

 

তিনি বলেন, যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের আইনে দণ্ডিত যে কোনো ব্যক্তিকে ভারত আইনগতভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য। আর সব দিক থেকেই আমরা দাবি করি, নয়াদিল্লি যেন তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।

 

‘ফ্র্যাকচার্ড অর্ডার্স, ফ্লুইড লয়্যালটিজ : পাওয়ার পলিটিক্স ইন দ্য পোস্ট-অ্যালাইনমেন্ট এজ’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার টেইলরস বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলিয়া রোকনিফার্ড, আগোরা স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের জোভান রাটকোভিচ, ব্রাজিলের গেটুলিও ভারগাস ফাউন্ডেশনের (এফজিভি) লিওনার্দো পাজ নেভেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মারিয়ান ভিডাউরি। আলোচনাটি পরিচালনা করেন জার্মানির আরটিএল নর্ড-এর ডেভিড প্যাট্রিশিয়ান।

 

 

হাসিনার প্রথম প্রত্যর্পণ অনুরোধ এখনও মীমাংসিত হয়নি, যদিও নয়াদিল্লি এ ব্যাপারে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছে।

 

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক রায়ের পর ভারতকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘অবিলম্বে হস্তান্তর’ করার আহ্বান জানিয়েছে।

 

 

গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতার দায়ে উভয়কে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তারা দুজনেই ভারতে অবস্থান করছেন।

 

রায় ঘোষণার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্য কোনো দেশে আশ্রয় দেয়া হবে গুরুতর ‘অমিত্রসুলভ’ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।’ সূত্র: বাসস

জনপ্রিয় সংবাদ

রাস্তায় না, নারী সঙ্গীর বাসায় গুলিবিদ্ধ হন এনসিপি নেতা; চাঞ্চল্যকর তথ্য

ভারত হাসিনাকে ফেরত দিতে বাধ্য: মুনিরুজ্জামান

আপডেট সময় ১০:১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

 

 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মুনিরুজ্জামান বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ভারত প্রায় আইনগতভাবেই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য।

 

শনিবার (২২ নভেম্বর) ঢাকায় বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের এক অধিবেশনে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় ভারত প্রায় আইনগতভাবেই তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য।

 

 

তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে ভারতকে বাংলাদেশের আইনগত প্রক্রিয়াকে সম্মান জানিয়ে বিলম্ব ছাড়াই হাসিনাকে ফেরত পাঠানো উচিত।

 

 

তিনি আরও বলেন, যদি ভারত আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন, নীতি ও শৃঙ্খলাকে সম্মান করে, তবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে তাদের বাংলাদেশের আইনগত ব্যবস্থাকেও সম্মান জানানো উচিত।

 

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামান বলেন, হাসিনার বিচার আন্তর্জাতিক আইনগত মানদণ্ড পূরণ করেছে। আর এটাই এমন একটি আইনগত ব্যবস্থা যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্মান করা উচিত। যদি সেই সম্মান থাকে, তবে সব দিক থেকেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত, বলেন তিনি।

 

মুনিরুজ্জামান প্রশ্ন তোলেন, যদি বাংলাদেশ দণ্ডিত ভারতীয় নাগরিকদের আশ্রয় দিত এবং আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও ফেরত না পাঠাত, তবে ভারত কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাত।

 

তিনি বলেন, যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের আইনে দণ্ডিত যে কোনো ব্যক্তিকে ভারত আইনগতভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য। আর সব দিক থেকেই আমরা দাবি করি, নয়াদিল্লি যেন তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।

 

‘ফ্র্যাকচার্ড অর্ডার্স, ফ্লুইড লয়্যালটিজ : পাওয়ার পলিটিক্স ইন দ্য পোস্ট-অ্যালাইনমেন্ট এজ’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার টেইলরস বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলিয়া রোকনিফার্ড, আগোরা স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের জোভান রাটকোভিচ, ব্রাজিলের গেটুলিও ভারগাস ফাউন্ডেশনের (এফজিভি) লিওনার্দো পাজ নেভেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মারিয়ান ভিডাউরি। আলোচনাটি পরিচালনা করেন জার্মানির আরটিএল নর্ড-এর ডেভিড প্যাট্রিশিয়ান।

 

 

হাসিনার প্রথম প্রত্যর্পণ অনুরোধ এখনও মীমাংসিত হয়নি, যদিও নয়াদিল্লি এ ব্যাপারে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছে।

 

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক রায়ের পর ভারতকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘অবিলম্বে হস্তান্তর’ করার আহ্বান জানিয়েছে।

 

 

গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতার দায়ে উভয়কে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তারা দুজনেই ভারতে অবস্থান করছেন।

 

রায় ঘোষণার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্য কোনো দেশে আশ্রয় দেয়া হবে গুরুতর ‘অমিত্রসুলভ’ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।’ সূত্র: বাসস