জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স দক্ষিণ কোরিয়ার প্রচারসচিব ফাইয়াজ ইফতিকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে দুই দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হলেও তিনি প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন—তিনি কোনো জবাব দিতে চান না। বরং তার দাবি, দল যেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি লেখেন, এনসিপির সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক রাখতে চান না। সাময়িক বহিষ্কারের পর থেকে দলের অনেকেই তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপদস্থ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষায়, মতের অমিল হলেই আক্রমণ করা নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি নয়।
ফাইয়াজ ইফতি তার বিরুদ্ধে ‘জামায়াত-শিবির’ ট্যাগিংয়ের অভিযোগও তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি দাবি করেন, তিনি কখনো জামায়াত-শিবিরে যুক্ত ছিলেন না, পরিবারের কেউও নয়। ফেসবুকে কোনো দলের কর্মকাণ্ড ভালো লাগলে পোস্ট দিলে তাকে সেই দলের কর্মী বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে—এটিকে তিনি অন্যায় ও জুলুম বলে মন্তব্য করেন। তার মতে, এখন বহু নিরপেক্ষ মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভালো উদ্যোগের প্রশংসা করে থাকেন—এতে তারা কোনো দলের সদস্য হয়ে যান না।
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত হবেন না। যাকে ভালো লাগবে, তার পক্ষেই স্বাধীনভাবে পোস্ট করবেন। এমনকি ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদীকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পরও তাকে ‘গুপ্ত ইনকিলাব মঞ্চ’ বলে তকমা দেওয়া হয়েছে—যা তিনি হাস্যকর ও অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন।
পোস্টের শেষে এনসিপির উদ্দেশে ফাইয়াজ ইফতির বার্তা ছিল স্পষ্ট—সাথে থাকলে সঙ্গী আর সামান্য মতভেদ হলেই কাউকে ‘জঙ্গি’ বলার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তিনি জানান, সাদিক কায়েম, হাসনাত আব্দুল্লাহ বা রাকিবুল ইসলাম রাকিব—যার কাজ ভালো লাগবে, তিনি তার পক্ষেই কথা বলবেন।


























