বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক আজ (২৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন—বাউল আবুল সরকারের প্রকাশ্য আল্লাহদ্রোহী, অবমাননাকর ও ঈমান-বিধ্বংসী বক্তব্য দেশজুড়ে গভীর ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এমন বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণের ন্যায্য দাবির প্রেক্ষিতে তার গ্রেপ্তার আইনের শাসন রক্ষারই স্বস্তিদায়ক পদক্ষেপ।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আবুল সরকারের সমর্থকরা মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে উসকানিমূলক আচরণের মাধ্যমে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়েছে, যা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। তিনি আরও জানান, একটি রাজনৈতিক দল, কিছু বুদ্ধিজীবী ও ইসলামবিরোধী চক্র আল্লাহর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্যকে আড়াল করে বাউলের পক্ষাবলম্বন করছে। এমনকি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মহাসচিবও ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৌহিদী জনতার ন্যায্য প্রতিবাদকে “উগ্রবাদী-ধর্মান্ধ চক্রের কাজ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
মাওলানা বলেন, আবুল সরকারের পক্ষাবলম্বী সব গোষ্ঠীর অসত্যোপাসনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তারা অপরাধীর ধর্মবিরোধী বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি; বরং মুসলিম জনতার স্বতঃস্ফূর্ত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে ‘উগ্রবাদ’ বলেছে, যা বিগত ফ্যাসিবাদী ভাষাচর্চার পুনরাবৃত্তি।
তিনি বলেন, তৌহিদী জনতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে ‘ধর্মান্ধতা’ বলা সংঘাত উসকে দেওয়ার শামিল। আবুল সরকারের আল্লাহদ্রোহী বক্তব্য জঘন্য ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তার বিরুদ্ধে তৌহিদী জনতার প্রতিক্রিয়া ছিল শান্তিপূর্ণ ও ঈমানি দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ। অপরাধীকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রতিবাদকারীদের ওপর দোষ চাপানো অবিচার এবং ইসলামী চেতনার প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা।
মাওলানা মামুনুল হক সরকারের প্রতি দাবি জানান—আবুল সরকারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতি কার্যকর করতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক মহলকে ধর্মীয় বিষয়ে সংযত, দায়িত্বশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদানের চর্চা গড়ে তুলতে হবে।




















