বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ায় লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা পরিবর্তন করে তিনি দ্রুত দেশে ফিরতে পারেন, যদিও নির্দিষ্ট তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বর্তমানে খালেদা জিয়া ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার গুরুতর অসুস্থতার খবরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। লন্ডনে থাকা তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিকভাবে তার শারীরিক অবস্থার আপডেট পাচ্ছেন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্য হিসেবে জুবাইদা রহমান চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্যও সরাসরি জানছেন। খালেদা জিয়ার পাশে রয়েছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার।
শুক্রবার বিকেল ও রাতে দু’দফা হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও হাসপাতালে ভিড় করেন। খালেদা জিয়ার এই সংকটাপন্ন অবস্থাই তারেক রহমানের আগাম বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা থাকায় তারেক রহমানের ফেরার সম্ভাব্য সময় হিসেবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নিয়েই আগে আলোচনা চলছিল। দলীয় একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, দেশে ফিরে ভোটার হওয়া ও নির্বাচনী প্রচারেও যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।
১৭ বছর পর তারেক রহমানের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন ঘিরে তার নিরাপত্তা, বাসভবন সংস্কার, ও রাজনৈতিক অফিস প্রস্তুতিসহ সবকিছুই প্রায় শেষ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওমরাহ শেষে লন্ডনে ফিরে সেখান থেকে ঢাকায় আসার কথা ছিল তার।
কিন্তু খালেদা জিয়ার আকস্মিক গুরুতর অসুস্থতা পুরো পরিকল্পনাই বদলে দিতে পারে। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তারেক রহমানকে আরও আগেই দেশে ফিরতে হতে পারে।




















