ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত স্বাধীনতার সময় নারীদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল: মির্জা আব্বাস

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৯ বার পড়া হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত নারীদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালুর মাঠে আয়োজিত এক মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কারও কারও বক্তব্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভোট না দিলে জান্নাত-জাহান্নামের কথা বলা হচ্ছে এবং এমনকি কুপিয়ে মারার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আল বদর ও রাজাকার হিসেবে পরিচিত ছিল, তারা স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের জনগণ ও নারীদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল। আজ তারাই আবার ভোট চাইছে এবং বড় বড় কথা বলছে। তারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিল?’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এটা অসভ্য দল। তাদের (রাজাকার-আলবদর) জন্য আওয়ামী লীগই ঠিক ছিল। কারণ তারা সভ্যদের সঙ্গে চলতে পারে না। আমরা আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করতে পারি না বলেই ওদের কণ্ঠস্বর এত উঁচু। বাস্তবে আওয়ামী লীগ একটি অভদ্র দল এবং তারাও একটি অসভ্য ও ধর্ম বিকৃতকারী দল। এরা মওদুদীবাদে বিশ্বাস করে, ইসলামের প্রকৃত চেতনায় বিশ্বাস করে না। শুধু মুসলমানের লেবাস আছে।’

দেশবাসীকে এসব দলের কার্যক্রম থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি জনগণকে অনুরোধ করব, এসব মানুষের হাত থেকে বাঁচুন।’

জনপ্রিয় সংবাদ

চলতি অর্থবছরের রাজস্ব ঘাটতি ২৪ হাজার কোটি টাকা

জামায়াত স্বাধীনতার সময় নারীদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল: মির্জা আব্বাস

আপডেট সময় ১০:০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত নারীদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালুর মাঠে আয়োজিত এক মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কারও কারও বক্তব্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভোট না দিলে জান্নাত-জাহান্নামের কথা বলা হচ্ছে এবং এমনকি কুপিয়ে মারার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আল বদর ও রাজাকার হিসেবে পরিচিত ছিল, তারা স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের জনগণ ও নারীদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল। আজ তারাই আবার ভোট চাইছে এবং বড় বড় কথা বলছে। তারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিল?’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এটা অসভ্য দল। তাদের (রাজাকার-আলবদর) জন্য আওয়ামী লীগই ঠিক ছিল। কারণ তারা সভ্যদের সঙ্গে চলতে পারে না। আমরা আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করতে পারি না বলেই ওদের কণ্ঠস্বর এত উঁচু। বাস্তবে আওয়ামী লীগ একটি অভদ্র দল এবং তারাও একটি অসভ্য ও ধর্ম বিকৃতকারী দল। এরা মওদুদীবাদে বিশ্বাস করে, ইসলামের প্রকৃত চেতনায় বিশ্বাস করে না। শুধু মুসলমানের লেবাস আছে।’

দেশবাসীকে এসব দলের কার্যক্রম থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি জনগণকে অনুরোধ করব, এসব মানুষের হাত থেকে বাঁচুন।’