ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে রাতভর গুঞ্জন—কোনো সূত্রে মেলেনি নিশ্চিত তথ্য

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৬ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার অসুস্থ মাকে দেখতে হঠাৎ দেশে ফিরছেন—এমন একটি তথ্য রাতভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও কয়েকটি ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়, তিনি কাতার এয়ারওয়েজের A101 ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন এবং বুধবার গভীর রাতে কিংবা বৃহস্পতিবার যেকোনো সময়ে দেশে পৌঁছাতে পারেন। তবে এসব দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর রাত থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বুকের ইনফেকশনজনিত জটিলতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অসুস্থতার পর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে গুঞ্জন জোরদার হয়।

গত সোমবার গভীর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “খুব শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।” এই মন্তব্য গুজবকে আরও তীব্র করে তোলে।

এদিকে মঙ্গলবার নয়াপল্টনের আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে যুবদলের মিলাদ মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অবস্থার উন্নতি হলে তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরতে পারেন।

প্রায় ১৮ বছর ধরে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে ILR (Indefinite Leave to Remain) স্ট্যাটাসে বসবাস করছেন। এ স্ট্যাটাস ব্রিটিশ নাগরিকদের অনেক সুবিধা নিশ্চিত করলেও ভোটাধিকার, সরকারি চাকরি বা নিজ নামে সম্পত্তি কেনার সুযোগ নেই। তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান বর্তমানে এনএইচএসে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে আইনি জটিলতার কথা তুলে ধরে লন্ডন প্রবাসী আইনজীবী বিপ্লব কুমার পোদ্দার জানান, ব্রিটিশ হোম অফিস অ্যাসাইলাম স্থগিত বা বাতিল না করে নিজ দেশের পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করে না। নিরাপত্তা ঝুঁকি যাচাই না হলে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নবায়ন বা ট্রাভেল পাস ইস্যুও সম্ভব নয়। তিনি বলেন, যেহেতু তারেক রহমান এখন বাংলাদেশ সরকারের কোনো পদে নেই, তাই তার ক্ষেত্রে কূটনৈতিক কোনো সুবিধা প্রযোজ্য নয়। পাশাপাশি তার নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হলে যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলও সরকারকে চাপ দিতে পারে—যেমনটি টিউলিপ সিদ্দিকী ইস্যুতে দেখা গেছে।

রাতভর চলা আলোচনার পরও তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে কোনো সরকারি বা আনুষ্ঠানিক সূত্র থেকে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ হেফাজতে ছাত্রলীগ নেতার সেলফি, সমালোচনার ঝড়

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে রাতভর গুঞ্জন—কোনো সূত্রে মেলেনি নিশ্চিত তথ্য

আপডেট সময় ০৯:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার অসুস্থ মাকে দেখতে হঠাৎ দেশে ফিরছেন—এমন একটি তথ্য রাতভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও কয়েকটি ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়, তিনি কাতার এয়ারওয়েজের A101 ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন এবং বুধবার গভীর রাতে কিংবা বৃহস্পতিবার যেকোনো সময়ে দেশে পৌঁছাতে পারেন। তবে এসব দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর রাত থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বুকের ইনফেকশনজনিত জটিলতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অসুস্থতার পর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে গুঞ্জন জোরদার হয়।

গত সোমবার গভীর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “খুব শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।” এই মন্তব্য গুজবকে আরও তীব্র করে তোলে।

এদিকে মঙ্গলবার নয়াপল্টনের আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে যুবদলের মিলাদ মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অবস্থার উন্নতি হলে তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরতে পারেন।

প্রায় ১৮ বছর ধরে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে ILR (Indefinite Leave to Remain) স্ট্যাটাসে বসবাস করছেন। এ স্ট্যাটাস ব্রিটিশ নাগরিকদের অনেক সুবিধা নিশ্চিত করলেও ভোটাধিকার, সরকারি চাকরি বা নিজ নামে সম্পত্তি কেনার সুযোগ নেই। তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান বর্তমানে এনএইচএসে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে আইনি জটিলতার কথা তুলে ধরে লন্ডন প্রবাসী আইনজীবী বিপ্লব কুমার পোদ্দার জানান, ব্রিটিশ হোম অফিস অ্যাসাইলাম স্থগিত বা বাতিল না করে নিজ দেশের পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করে না। নিরাপত্তা ঝুঁকি যাচাই না হলে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নবায়ন বা ট্রাভেল পাস ইস্যুও সম্ভব নয়। তিনি বলেন, যেহেতু তারেক রহমান এখন বাংলাদেশ সরকারের কোনো পদে নেই, তাই তার ক্ষেত্রে কূটনৈতিক কোনো সুবিধা প্রযোজ্য নয়। পাশাপাশি তার নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হলে যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলও সরকারকে চাপ দিতে পারে—যেমনটি টিউলিপ সিদ্দিকী ইস্যুতে দেখা গেছে।

রাতভর চলা আলোচনার পরও তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে কোনো সরকারি বা আনুষ্ঠানিক সূত্র থেকে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।