৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে পুলিশ ক্যাডারের শীর্ষ তিনজনের মধ্যে দু’জনই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা ছিলেন ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয় পদধারী—যা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডা. সাদিয়া সুলতানা মিতু পড়াশোনা করেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে। তিনি ওই সময়ে ছাত্রলীগে সক্রিয় ছিলেন এবং ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শাখা কমিটিতে সহ-সভাপতির পদ পান। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২২ সালের ২০ আগস্ট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কলেজের ছেলেদের হল থেকে ১৩ জনকে পিটিয়ে বের করে দেয়। মিতু এ বিষয়ে জানিয়েছেন, তিনি কোনোভাবে হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন করেননি, তবে ওই পদে থাকার সিদ্ধান্ত তার জীবনের বড় ভুল ছিল।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ডা. হাদীদ হাসান হিমেল রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। সহপাঠীরা জানান, হিমেল ছাত্রলীগে সক্রিয় থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে কোনো নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি নিজেও ছাত্রলীগে কোনো পদে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
উভয় শিক্ষার্থীর বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা কমিটিতে ছিলেন বা ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে কোনো নিপীড়ন বা অন্যায় কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন না। তবে ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর উচ্ছৃঙ্খল ও আক্রমণাত্মক ছিলেন।
এ ঘটনায় ৪৫তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শীর্ষ স্থান অর্জন করা এই মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অতীত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সামাজিক ও শিক্ষামাধ্যমে সমালোচনার ঢেউ দেখা দিয়েছে।




















