ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চরফ্যাশনে আইনজীবীকে হুমকি দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গ্রেফতার, বিএনপি নেতাদের তদবির

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৫ বার পড়া হয়েছে

 

ভোলার চরফ্যাশনে নজরুলনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সজিব শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এপিপি ও তার পরিবারের ওপর হামলা, হুমকি–ধামকি এবং লাঞ্ছিত করার অভিযোগও উঠেছে।

অভিযুক্ত সজিব শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার দুপুরের পর এসব ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চাঁদাবাজি মামলার পক্ষে লড়ছেন এজিপি মো. সিদ্দিক মাতব্বর।

দুলারহাট থানার পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, গত নভেম্বর মাসে জোর করে ধান কাটার ঘটনায় সজিব শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা (নং–৫২/২৫) হয়। ওই মামলার দুই নম্বর আসামিকে সোমবার দুপুরে উপজেলা সড়ক থেকে থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

চরফ্যাশন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হযরত আলী হিরণ বলেন, সদ্য যোগ দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুপুর দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে বের হওয়ার সময় সজিব শাহরিয়ার সিদ্দিক মাতব্বরকে উদ্দেশ করে বলে—‘তুই আমাকে মামলা দিয়েছিস, আমি তোকে দেখে নেব।’ পরে তারা বিষয়টি থানার কর্মকর্তাদের জানান এবং বেলা ৩টার দিকে পুলিশ সজিবকে গ্রেফতার করে।

এপিপি হিরণ আরও বলেন, সজিবের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা তাকে ফোন দিয়ে তদবির করতে চাপ দেন; কিন্তু তিনি অপারগতা প্রকাশ করায় বিএনপির নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে হামলা চালান, দরজা ভেঙে ফেলে, তার স্ত্রীকে হুমকি দেন এবং পরে তার চেম্বারেও আক্রমণ করেন। বাসায় ফেরার পথে ছাত্রদল–যুবদলের কর্মীরা তাকে লাঞ্ছিত করে, আহত করে এবং তার পকেটের টাকা, ঘড়ি ও মোবাইল ছিনতাই করে নেয়।

তিনি বলেন, এটি নিয়মিত মামলা। পুলিশ কাউকে ছাড়বে কিনা, তা আমার হাতে নেই। তাই অপারগতার কথা জানিয়েছি। আর এ কারণেই আমার ওপর এ হামলা।

তিনি আরও জানান, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নয়ন নির্দেশনা দিয়েছেন—কোনো চাঁদাবাজ–সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না; সজিব শাহরিয়ার তারই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্ত। হামলার বিচার চেয়ে তিনি দেশে–বিদেশে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আইনজীবী ফোরাম বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডাকেছে এবং তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

চরফ্যাশন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে সজিব শাহরিয়ার ইউপি সদস্য হয়েছেন। ৫ আগস্টের পরে প্যানেল চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার পক্ষ নিয়ে যুবদলের কেউ এপিপির ওপর হামলা করবে—এ কথা বলাই যায় না। যারা হামলা করেছে, তারা সন্ত্রাসী।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিঙ্গাপুরে হাদির পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে সর্বশেষ যা জানা গেলো

চরফ্যাশনে আইনজীবীকে হুমকি দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গ্রেফতার, বিএনপি নেতাদের তদবির

আপডেট সময় ১১:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

 

ভোলার চরফ্যাশনে নজরুলনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সজিব শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এপিপি ও তার পরিবারের ওপর হামলা, হুমকি–ধামকি এবং লাঞ্ছিত করার অভিযোগও উঠেছে।

অভিযুক্ত সজিব শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার দুপুরের পর এসব ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চাঁদাবাজি মামলার পক্ষে লড়ছেন এজিপি মো. সিদ্দিক মাতব্বর।

দুলারহাট থানার পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, গত নভেম্বর মাসে জোর করে ধান কাটার ঘটনায় সজিব শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা (নং–৫২/২৫) হয়। ওই মামলার দুই নম্বর আসামিকে সোমবার দুপুরে উপজেলা সড়ক থেকে থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

চরফ্যাশন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হযরত আলী হিরণ বলেন, সদ্য যোগ দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুপুর দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে বের হওয়ার সময় সজিব শাহরিয়ার সিদ্দিক মাতব্বরকে উদ্দেশ করে বলে—‘তুই আমাকে মামলা দিয়েছিস, আমি তোকে দেখে নেব।’ পরে তারা বিষয়টি থানার কর্মকর্তাদের জানান এবং বেলা ৩টার দিকে পুলিশ সজিবকে গ্রেফতার করে।

এপিপি হিরণ আরও বলেন, সজিবের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা তাকে ফোন দিয়ে তদবির করতে চাপ দেন; কিন্তু তিনি অপারগতা প্রকাশ করায় বিএনপির নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে হামলা চালান, দরজা ভেঙে ফেলে, তার স্ত্রীকে হুমকি দেন এবং পরে তার চেম্বারেও আক্রমণ করেন। বাসায় ফেরার পথে ছাত্রদল–যুবদলের কর্মীরা তাকে লাঞ্ছিত করে, আহত করে এবং তার পকেটের টাকা, ঘড়ি ও মোবাইল ছিনতাই করে নেয়।

তিনি বলেন, এটি নিয়মিত মামলা। পুলিশ কাউকে ছাড়বে কিনা, তা আমার হাতে নেই। তাই অপারগতার কথা জানিয়েছি। আর এ কারণেই আমার ওপর এ হামলা।

তিনি আরও জানান, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নয়ন নির্দেশনা দিয়েছেন—কোনো চাঁদাবাজ–সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না; সজিব শাহরিয়ার তারই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্ত। হামলার বিচার চেয়ে তিনি দেশে–বিদেশে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আইনজীবী ফোরাম বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডাকেছে এবং তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

চরফ্যাশন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে সজিব শাহরিয়ার ইউপি সদস্য হয়েছেন। ৫ আগস্টের পরে প্যানেল চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার পক্ষ নিয়ে যুবদলের কেউ এপিপির ওপর হামলা করবে—এ কথা বলাই যায় না। যারা হামলা করেছে, তারা সন্ত্রাসী।