ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১০০টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বড় কোনো পরিবর্তন না হলে আজই প্রার্থিতা ঘোষণা করবে দলটি। গতকাল সোমবার এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানান, প্রাথমিক ধাপে ১০০ আসনের প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই তা ঘোষিত হবে, তবে প্রয়োজন হলে চূড়ান্ত তালিকা আগামী বুধবার প্রকাশ করা হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সব প্রস্তুতি শেষ। বাকি আসনগুলো জোটগত সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে এবং চলতি মাসের মধ্যেই সেসব আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করবে দলটি। এবার প্রার্থী বাছাইয়ে পরিবারকেন্দ্রিক নেতৃত্ব এড়িয়ে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ ভাবধারা, পেশাজীবী ও নীতিনিষ্ঠ তরুণদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে এনসিপি। সময় বাড়িয়ে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৪টি ফরম বিক্রি হয়। তবে আসন বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেছেন, দুই উপদেষ্টা ও তিন কেন্দ্রীয় নেতা আসন বণ্টনে হস্তক্ষেপ করছেন এবং পরিবারকেন্দ্রিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ থেকে নির্বাচন করছেন, পাশাপাশি তিনি ঢাকা–৯ থেকেও প্রার্থী হতে পারেন। সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর–৪ থেকে লড়বেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টাও এনসিপির হয়ে প্রার্থী হচ্ছেন—স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা–১২ বা ঢাকা–১০ এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর–১ থেকে নির্বাচন করতে পারেন।
এ ছাড়া সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ভোলা–১, আরিফুল ইসলাম আদিব ঢাকা–১৪, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ঢাকা–৯, মনিরা শারমিন নওগাঁ–৫, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা–১৮, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়–১, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা–৪ এবং সিনিয়র যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী–৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে মাঠে প্রচারণা শুরু করেছেন।
গত রোববার এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে মুখপাত্র করে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।




















