কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ এখন প্রায় অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা উঠেছে ঢাকা-দিল্লির আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক বৈঠকগুলোতে। তবে এসব আলোচনায় এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। ব্যক্তিগতভাবে নেতারা চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন, তবে শর্তসাপেক্ষে। যাদের ইমেজ পরিষ্কার, তাদের ক্ষেত্রে সরকারের আপত্তি নেই। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে বা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে—তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে না।
মানবতাবিরোধী অপরাধে সংশ্লিষ্টতার কারণ দেখিয়ে গত ১২ মে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি দেশও আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করেছে; তাদেরকেও সরকার একই বার্তা দিয়েছে।
দলের ভেতরে ‘ক্লিন ইমেজ’ নেতাদের নিয়ে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা থাকলেও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা তাতে অনুমতি দেননি।
হাসিনার বিশ্বাস—সংগঠনগত লড়াইয়ের মাধ্যমেই তিনি আবার দলকে ঘুরে দাঁড় করাতে সক্ষম হবেন।




















