ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতের প্রতি মানুষের এতো আগ্রহ কেন, জানালেন ড. গালিব

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১৯ বার পড়া হয়েছে

রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের কথা শোনা—এ মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন তিনি।

ড. গালিব লিখেছেন, জনগণের দাবিদাওয়া জানাতে যেন মানুষকে সবসময় ক্ষমতার কাছে ছুটে যেতে না হয়; বরং ক্ষমতাকেই জনতার দোরগোড়ায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে। সেই জায়গা থেকেই জামায়াতে ইসলামী ‘জনতার ইশতেহার’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে, যা তিনি বাংলাদেশি রাজনীতির জন্য “অসাধারণ ও মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা” হিসেবে দেখছেন।

তিনি জানান, জনগণের মতামত, চাহিদা ও অগ্রাধিকারকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি হলে দলগুলো প্রকৃত অর্থেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে। একইসঙ্গে ইশতেহারে করা প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য ফলোআপ সিস্টেম চালুর পরিকল্পনাকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

জুলাই আন্দোলনের পর জামায়াতের প্রতি জনগণের বাড়তি আগ্রহের বিষয়ে গালিব বলেন, এর মূল কারণ “পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা।” তিনি মনে করেন, জামায়াতের উচিত অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য না করে, ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে সেই পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরা। বর্তমানে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে, ইসলামপন্থিরা সততা ও যোগ্যতার সঙ্গে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে—বলেই মন্তব্য করেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের প্রতি মানুষের এতো আগ্রহ কেন, জানালেন ড. গালিব

আপডেট সময় ১২:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের কথা শোনা—এ মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন তিনি।

ড. গালিব লিখেছেন, জনগণের দাবিদাওয়া জানাতে যেন মানুষকে সবসময় ক্ষমতার কাছে ছুটে যেতে না হয়; বরং ক্ষমতাকেই জনতার দোরগোড়ায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে। সেই জায়গা থেকেই জামায়াতে ইসলামী ‘জনতার ইশতেহার’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে, যা তিনি বাংলাদেশি রাজনীতির জন্য “অসাধারণ ও মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা” হিসেবে দেখছেন।

তিনি জানান, জনগণের মতামত, চাহিদা ও অগ্রাধিকারকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি হলে দলগুলো প্রকৃত অর্থেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে। একইসঙ্গে ইশতেহারে করা প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য ফলোআপ সিস্টেম চালুর পরিকল্পনাকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

জুলাই আন্দোলনের পর জামায়াতের প্রতি জনগণের বাড়তি আগ্রহের বিষয়ে গালিব বলেন, এর মূল কারণ “পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা।” তিনি মনে করেন, জামায়াতের উচিত অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য না করে, ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে সেই পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরা। বর্তমানে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে, ইসলামপন্থিরা সততা ও যোগ্যতার সঙ্গে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে—বলেই মন্তব্য করেন তিনি।