ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে মাঠে নামবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ: কাদের সিদ্দিকী

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:১৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১৯ বার পড়া হয়েছে

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, সর্বসম্মত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে তাঁর দল নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনগণকে বাদ দিয়ে যদি কেবল বিএনপি, এনসিপি ও জামায়াত অংশ নেয়, তাহলে সেই নির্বাচনে ২০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। “সে ভোটে আমরাও যাবো না”— মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সভায় এসব কথা বলেন বঙ্গবীর। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আমি আপনাকে চিনতে পারিনি, আমার আগে আপনাকে শেখ হাসিনা চিনেছে। দেশের মানুষ চিনেছে। শেখ হাসিনার অন্যায়, বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়; আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়।”

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হতে পারে, কিন্তু পুরো আওয়ামী লীগের বিচার কেউ করতে পারবে না। “আইয়ুব খান পারেনি, ইয়াহিয়া খানও পারে নাই—আপনারাও পারবেন না।” আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার করার আহ্বান জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “সবাই তো দোষ করে নাই।”

নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে আমি রাজনৈতিকভাবে কখনো সমর্থন করি নাই। কারণ তিনি মনে করতেন দেশটা তার বাপের; আর আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু দেশের সেবক, আমিও দেশের সেবক। আমরা সবাই আল্লার গোলাম।”

বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি, জিয়াউর রহমানও করেছিলেন। দুজনকেই বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকার—এখানে কোনো ভিন্নতা নেই। ভিন্নতা তৈরি করেই আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াতকে শক্তিশালী করেছি।”

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত যে অন্যায় করেছে, মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে—ক্ষমা না চাইলে তাদের এই দেশে কথা বলার সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল না। “বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা ছিলেন বলেই জামায়াতের নেতারা বেঁচে গিয়েছে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান আলমগীর খান মেনু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক, টাঙ্গাইল জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতিক, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী হুমায়ুন বাঙাল ও দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে মাঠে নামবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ: কাদের সিদ্দিকী

আপডেট সময় ০৮:১৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, সর্বসম্মত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে তাঁর দল নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনগণকে বাদ দিয়ে যদি কেবল বিএনপি, এনসিপি ও জামায়াত অংশ নেয়, তাহলে সেই নির্বাচনে ২০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। “সে ভোটে আমরাও যাবো না”— মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সভায় এসব কথা বলেন বঙ্গবীর। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আমি আপনাকে চিনতে পারিনি, আমার আগে আপনাকে শেখ হাসিনা চিনেছে। দেশের মানুষ চিনেছে। শেখ হাসিনার অন্যায়, বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়; আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়।”

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হতে পারে, কিন্তু পুরো আওয়ামী লীগের বিচার কেউ করতে পারবে না। “আইয়ুব খান পারেনি, ইয়াহিয়া খানও পারে নাই—আপনারাও পারবেন না।” আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার করার আহ্বান জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “সবাই তো দোষ করে নাই।”

নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে আমি রাজনৈতিকভাবে কখনো সমর্থন করি নাই। কারণ তিনি মনে করতেন দেশটা তার বাপের; আর আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু দেশের সেবক, আমিও দেশের সেবক। আমরা সবাই আল্লার গোলাম।”

বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি, জিয়াউর রহমানও করেছিলেন। দুজনকেই বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকার—এখানে কোনো ভিন্নতা নেই। ভিন্নতা তৈরি করেই আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াতকে শক্তিশালী করেছি।”

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত যে অন্যায় করেছে, মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে—ক্ষমা না চাইলে তাদের এই দেশে কথা বলার সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল না। “বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা ছিলেন বলেই জামায়াতের নেতারা বেঁচে গিয়েছে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান আলমগীর খান মেনু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক, টাঙ্গাইল জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতিক, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী হুমায়ুন বাঙাল ও দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রমুখ।