ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদি হামলার শ্যুটার ও সহযোগী ভারতে পালিয়েছে—আল-জাজিরার সাংবাদিকের দাবি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:১৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৬১ বার পড়া হয়েছে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনায় জড়িত শ্যুটার ও তার সহযোগী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। রোববার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের জানান, হামলার মূল শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। বর্তমানে তারা ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরে অবস্থান করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সায়েরের দাবি অনুযায়ী, ভারতে অবস্থানকালে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। তার তত্ত্বাবধানেই তারা সেখানে রয়েছেন বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।

হাদির ওপর হামলার প্রসঙ্গে জুলকারনাইন সায়ের বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে এবং একই ধরনের আরও কয়েকটি হামলার পরিকল্পনাও ছিল। তার দাবি অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদ ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করেছেন যে ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি মাত্র একটি গুলি ছুড়তে সক্ষম হন, যদিও তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।

পোস্টে আরও বলা হয়, ফয়সালের মতো আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার হিসেবে চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদের নামও উঠে এসেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায় তাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হন।

জুলকারনাইন সায়ের তার পোস্টে মন্তব্য করেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের যেসব অস্ত্রধারী ক্যাডার বিভিন্ন মামলায় জামিনে মুক্ত রয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের বর্তমান অবস্থান ও কর্মকাণ্ড দ্রুত খতিয়ে দেখা জরুরি।

তবে এসব অভিযোগ ও দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দায় চাপিয়েছে জামায়াতের ওপর: গোলাম পরওয়ার

হাদি হামলার শ্যুটার ও সহযোগী ভারতে পালিয়েছে—আল-জাজিরার সাংবাদিকের দাবি

আপডেট সময় ১২:১৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনায় জড়িত শ্যুটার ও তার সহযোগী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। রোববার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের জানান, হামলার মূল শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। বর্তমানে তারা ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরে অবস্থান করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সায়েরের দাবি অনুযায়ী, ভারতে অবস্থানকালে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। তার তত্ত্বাবধানেই তারা সেখানে রয়েছেন বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।

হাদির ওপর হামলার প্রসঙ্গে জুলকারনাইন সায়ের বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে এবং একই ধরনের আরও কয়েকটি হামলার পরিকল্পনাও ছিল। তার দাবি অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদ ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করেছেন যে ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি মাত্র একটি গুলি ছুড়তে সক্ষম হন, যদিও তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।

পোস্টে আরও বলা হয়, ফয়সালের মতো আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার হিসেবে চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদের নামও উঠে এসেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায় তাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হন।

জুলকারনাইন সায়ের তার পোস্টে মন্তব্য করেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের যেসব অস্ত্রধারী ক্যাডার বিভিন্ন মামলায় জামিনে মুক্ত রয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের বর্তমান অবস্থান ও কর্মকাণ্ড দ্রুত খতিয়ে দেখা জরুরি।

তবে এসব অভিযোগ ও দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।