ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাত্র ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ দশ বছরের মুনতাসির

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:২১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • ৫১৯ বার পড়া হয়েছে

এবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে হাফেজ হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আবদুল্লাহ আল মুনতাসির নামে দশ বছর বয়সী এক শিশু। এ বয়সে অনেকেরই ত্রিশ পারা কোরআন মুখস্থ করা অসম্ভব হলেও মুনতাসিরের পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে।

এতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে ফুলের মালা ও পাগড়ি পরিয়ে দেয়। এছাড়াও তার হিফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ ক্বারি ফয়সাল মাহমুদকে পুরস্কৃত করা হয়। শিশু হাফেজ আবদুল্লাহ আল মুনতাসির উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের পিপড্ডা গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের ছেলে। খুরশীদ আলমের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মুনতাসির সবার ছোট।

দেড় বছর আগে নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের চারিজানিয়া নেছারিয়া হামীদীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নাজেরা শুরু করে মুনতাসির। ৭৫ জনের মধ্যে নাজেরা শেষ করে ১১ মাসে পুরো ৩০ পারা কোরআন শরিফ মুখস্থ করে হাফেজ হয় সে।

এদিকে শিশু হাফেজ আবদুল্লাহ আল মুনতাসির  জানায়, বিশ্ব বিখ্যাত আলেম হয়ে ইসলামের খেদমত করা, মা-বাবা ও প্রিয় শিক্ষকদের নাম যেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায় এটা এখন তার স্বপ্ন। সবার কাছে দোয়া চায় এই শিশু হাফেজ।

হাফেজ মুনতাসিরের মা কামরুজ্জাহান রুমি জানান, তার ছোট সন্তান আবদুল্লাহ আল মুনতাসির মাত্র ১১ মাসে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে। ভবিষ্যতে তার স্বপ্ন সন্তানকে অনেক বড় আলেম বানানোর। তাই দেশবাসীসহ সবার কাছে দোয়া চান মা।

এদিকে চারিজানিয়া নেছারিয়া হামীদীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ ক্বারি ফয়সাল মাহমুদ বলেন, আবদুল্লাহ আল মুনতাসির কোরআনে হাফেজ হওয়ার পেছনে তার অনেক চেষ্টা ও মেহনত থাকায় হাফেজ হওয়া সম্ভব হয়েছে। এতে শিক্ষকদেরও মেহনত রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কবুল করায় ১১ মাসে হাফেজ হতে পেরেছে মুনতাসির।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

মাত্র ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ দশ বছরের মুনতাসির

আপডেট সময় ০৬:২১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

এবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে হাফেজ হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আবদুল্লাহ আল মুনতাসির নামে দশ বছর বয়সী এক শিশু। এ বয়সে অনেকেরই ত্রিশ পারা কোরআন মুখস্থ করা অসম্ভব হলেও মুনতাসিরের পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে।

এতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে ফুলের মালা ও পাগড়ি পরিয়ে দেয়। এছাড়াও তার হিফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ ক্বারি ফয়সাল মাহমুদকে পুরস্কৃত করা হয়। শিশু হাফেজ আবদুল্লাহ আল মুনতাসির উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের পিপড্ডা গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের ছেলে। খুরশীদ আলমের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মুনতাসির সবার ছোট।

দেড় বছর আগে নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের চারিজানিয়া নেছারিয়া হামীদীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নাজেরা শুরু করে মুনতাসির। ৭৫ জনের মধ্যে নাজেরা শেষ করে ১১ মাসে পুরো ৩০ পারা কোরআন শরিফ মুখস্থ করে হাফেজ হয় সে।

এদিকে শিশু হাফেজ আবদুল্লাহ আল মুনতাসির  জানায়, বিশ্ব বিখ্যাত আলেম হয়ে ইসলামের খেদমত করা, মা-বাবা ও প্রিয় শিক্ষকদের নাম যেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায় এটা এখন তার স্বপ্ন। সবার কাছে দোয়া চায় এই শিশু হাফেজ।

হাফেজ মুনতাসিরের মা কামরুজ্জাহান রুমি জানান, তার ছোট সন্তান আবদুল্লাহ আল মুনতাসির মাত্র ১১ মাসে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে। ভবিষ্যতে তার স্বপ্ন সন্তানকে অনেক বড় আলেম বানানোর। তাই দেশবাসীসহ সবার কাছে দোয়া চান মা।

এদিকে চারিজানিয়া নেছারিয়া হামীদীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ ক্বারি ফয়সাল মাহমুদ বলেন, আবদুল্লাহ আল মুনতাসির কোরআনে হাফেজ হওয়ার পেছনে তার অনেক চেষ্টা ও মেহনত থাকায় হাফেজ হওয়া সম্ভব হয়েছে। এতে শিক্ষকদেরও মেহনত রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কবুল করায় ১১ মাসে হাফেজ হতে পেরেছে মুনতাসির।