রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে কিশোর গ্যাং কালচারের সূচনা হয় এবং এর মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানককে দায়ী করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে একটি জাতীয় দৈনিক ও একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বক্তব্য দেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, “মোহাম্মদপুর থেকে শুরু হওয়া কিশোর গ্যাং কালচার আজ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই কালচারের মাস্টারমাইন্ড নানক। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় মোহাম্মদপুর এলাকাটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে। এই এলাকার জনগণ জঞ্জাল ও ভয়ের মধ্যে বাস করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কিশোর গ্যাং লালন-পালন করছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বর্তমানে এই গ্যাং কালচারের অবসানে নিরলসভাবে কাজ করছে।
জাহিদ হোসেন বলেন, “দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছি। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের ইশারায় দোসররা দেশে আবারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনায় গুলি বর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ সংগঠিত হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। এজাহারে থাকা জাভেদ, শাওন ও রুবেল নামে তিনজনের পরিচয় তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারা সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমের বডিগার্ড ছিলেন।”
জাহিদ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দুটি গণমাধ্যম রহস্যজনক কারণে আমার কোনো বক্তব্য না নিয়েই আওয়ামী লীগের দোসরদের পক্ষাবলম্বন করে সংবাদ পরিবেশন করেছে এবং আমার নাম ব্যবহার করে মিথ্যা খবর প্রকাশ করেছে। এর ফলে আমি শুধু রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবেই নয়, পারিবারিকভাবেও হেয়প্রতিপন্ন হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের শাসনামলে আমার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা এখনো নোংরা খেলায় মেতে উঠতে চায়।”
জাহিদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে দায়ী গণমাধ্যমগুলোর উদ্দেশে বলেন, “আপনারা সংবাদ প্রকাশের আগে দু’পক্ষের বক্তব্য নিন, নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন। আমরা সত্যের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। অতএব, মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে আমাদের আইনি ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”