ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা: প্রতিরক্ষা খাতে বাজেটে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব শেহবাজ শরিফের

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এবার এ খাতে ১৭ শতাংশ বেশি ব্যয় করতে চায় ইসলামাবাদ। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চীন থেকে আধুনিক অস্ত্র সংগ্রহের পরিকল্পনাও করছে দেশটি। এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

মঙ্গলবার (১১ জুন) পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বাজেট সংক্রান্ত কিছু নথি অনুযায়ী, শেহবাজ শরিফের সরকার প্রতিরক্ষা খাতে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে, যা পাকিস্তানি মুদ্রায় প্রায় ২.৫৫ ট্রিলিয়ন রুপি। আগের অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২.১৮ ট্রিলিয়ন রুপি।

চরম আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তান বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে ঋণের সুদ পরিশোধে। দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যয় খাত হিসেবে রয়েছে প্রতিরক্ষা। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানা চার দিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অংশ নেয় দুই পক্ষই। এর সূত্রপাত হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের এক হামলা থেকে। নয়াদিল্লি এই হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও, পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে।

সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান চীনের তৈরি জেএফ-১৭ এবং জেড-১০সি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে বলে দাবি করেছে। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীনা অস্ত্রের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।

এছাড়া, চীন সম্প্রতি পাকিস্তানকে ৪০টি জে-৩৫ (পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান), কেজে-৫০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এইচকিউ-১৯ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে।

ব্লুমবার্গ আরও জানায়, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পাকিস্তানের চীন থেকে অস্ত্র আমদানির হার বেড়েছে ৮২ শতাংশ, যেখানে ২০০৯-২০১২ সালের সময়কালে এই হার ছিল ৫১ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার বাস্তব প্রতিফলন।

জনপ্রিয় সংবাদ

আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত বিমানের একজন ব্রিটিশ যাত্রী জীবিত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা: প্রতিরক্ষা খাতে বাজেটে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব শেহবাজ শরিফের

আপডেট সময় ০৪:১০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এবার এ খাতে ১৭ শতাংশ বেশি ব্যয় করতে চায় ইসলামাবাদ। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চীন থেকে আধুনিক অস্ত্র সংগ্রহের পরিকল্পনাও করছে দেশটি। এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

মঙ্গলবার (১১ জুন) পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বাজেট সংক্রান্ত কিছু নথি অনুযায়ী, শেহবাজ শরিফের সরকার প্রতিরক্ষা খাতে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে, যা পাকিস্তানি মুদ্রায় প্রায় ২.৫৫ ট্রিলিয়ন রুপি। আগের অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২.১৮ ট্রিলিয়ন রুপি।

চরম আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তান বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে ঋণের সুদ পরিশোধে। দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যয় খাত হিসেবে রয়েছে প্রতিরক্ষা। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানা চার দিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অংশ নেয় দুই পক্ষই। এর সূত্রপাত হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের এক হামলা থেকে। নয়াদিল্লি এই হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও, পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে।

সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান চীনের তৈরি জেএফ-১৭ এবং জেড-১০সি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে বলে দাবি করেছে। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীনা অস্ত্রের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।

এছাড়া, চীন সম্প্রতি পাকিস্তানকে ৪০টি জে-৩৫ (পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান), কেজে-৫০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এইচকিউ-১৯ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে।

ব্লুমবার্গ আরও জানায়, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পাকিস্তানের চীন থেকে অস্ত্র আমদানির হার বেড়েছে ৮২ শতাংশ, যেখানে ২০০৯-২০১২ সালের সময়কালে এই হার ছিল ৫১ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার বাস্তব প্রতিফলন।