ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যে সর্বনাশা মোড়: পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশের দ্বারপ্রান্তে ইরান, চার পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রকাশ্য সমর্থন

মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন এক ভয়ঙ্কর মোড়ে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার জবাবে ইরান যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক পর্যায়ে এক গভীর সংকটের জন্ম নিয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে বড়সড় এক চমক সৃষ্টি করে ইরানের পাশে অবস্থান নিয়েছে চারটি পরমাণু শক্তিধর দেশ—রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। এই চার দেশের ঘোষিত সমর্থন কেবল ইসরায়েলের নয়, বরং সমগ্র পশ্চিমা জোটের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

এর মধ্যেই সামনে এসেছে সবচেয়ে আলোচিত এবং আশঙ্কাজনক খবর—
ইরান যে কোনো সময় তার পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশ্যে আনতে পারে।

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’কে দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের নিরাপত্তার শেষ প্রহরী হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে ইরানের নেতৃত্বাধীন হামলায় সেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

তেলআবিবে অবস্থিত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর গুড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইরানের আয়াতুল্লাহ বাহিনী। এতে প্রমাণ মিলেছে যে, আঞ্চলিকভাবে ইসরায়েল এখন এক চরম নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়েছে।

১৪ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন—

“ইসরায়েল এমন এক ভয়ানক অপরাধ করেছে, যার শাস্তি তারা পাবে। এবার তাদের রেহাই নেই। তারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এর ফলাফল ভয়াবহ হবে।”

ইরান সরকার ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে—পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা হবে না। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই কড়া ভাষায় বলেন,

“যুক্তরাষ্ট্র একদিকে আলোচনার কথা বলে, আর অন্যদিকে ইসরায়েলকে হামলার ছাড়পত্র দেয়। এটা দ্বিচারিতা।”

রয়টার্স-এর ১৪ জুনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে,

“ইরান যেকোনো মুহূর্তে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশ্যে আনতে পারে।”

একইসঙ্গে টুইটার, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইরানপন্থী একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে—

“আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করবে ইরান।”

বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এসব দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাদের মতে,

“এই উত্তেজনা যদি অব্যাহত থাকে বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই ভয়াবহ এক পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যে সর্বনাশা মোড়: পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশের দ্বারপ্রান্তে ইরান, চার পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রকাশ্য সমর্থন

আপডেট সময় ১১:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন এক ভয়ঙ্কর মোড়ে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার জবাবে ইরান যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক পর্যায়ে এক গভীর সংকটের জন্ম নিয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে বড়সড় এক চমক সৃষ্টি করে ইরানের পাশে অবস্থান নিয়েছে চারটি পরমাণু শক্তিধর দেশ—রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। এই চার দেশের ঘোষিত সমর্থন কেবল ইসরায়েলের নয়, বরং সমগ্র পশ্চিমা জোটের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

এর মধ্যেই সামনে এসেছে সবচেয়ে আলোচিত এবং আশঙ্কাজনক খবর—
ইরান যে কোনো সময় তার পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশ্যে আনতে পারে।

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’কে দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের নিরাপত্তার শেষ প্রহরী হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে ইরানের নেতৃত্বাধীন হামলায় সেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

তেলআবিবে অবস্থিত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর গুড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইরানের আয়াতুল্লাহ বাহিনী। এতে প্রমাণ মিলেছে যে, আঞ্চলিকভাবে ইসরায়েল এখন এক চরম নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়েছে।

১৪ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন—

“ইসরায়েল এমন এক ভয়ানক অপরাধ করেছে, যার শাস্তি তারা পাবে। এবার তাদের রেহাই নেই। তারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এর ফলাফল ভয়াবহ হবে।”

ইরান সরকার ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে—পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা হবে না। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই কড়া ভাষায় বলেন,

“যুক্তরাষ্ট্র একদিকে আলোচনার কথা বলে, আর অন্যদিকে ইসরায়েলকে হামলার ছাড়পত্র দেয়। এটা দ্বিচারিতা।”

রয়টার্স-এর ১৪ জুনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে,

“ইরান যেকোনো মুহূর্তে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশ্যে আনতে পারে।”

একইসঙ্গে টুইটার, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইরানপন্থী একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে—

“আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করবে ইরান।”

বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এসব দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাদের মতে,

“এই উত্তেজনা যদি অব্যাহত থাকে বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই ভয়াবহ এক পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে।”