অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান ও গোলাবর্ষণে একদিনেই আরও অন্তত ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজার ২৫৯ জন। আহতের সংখ্যা পেরিয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার।

শুক্রবার (২৭ জুন) পৃথক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে চালানো আক্রমণে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্র জানায়, অনেক মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে পরিচালিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি হামলা চালিয়েছে। শুধু এই একটি কেন্দ্র ঘিরেই ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৬৬ জন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালগুলোতে নতুন করে আনা হয়েছে ১০৩টি মৃতদেহ এবং ২১৯ জন আহত ব্যক্তি। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল পুনরায় গাজায় পূর্ণমাত্রায় সামরিক আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি ভেঙে যায়। এরপর থেকে শুধু এই নতুন পর্যায়ের হামলায় ৫ হাজার ৯৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিকে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চাপ বাড়লেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামলা বন্ধে অনড় নন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইতোমধ্যেই নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) গাজায় গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলছে।