এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শুক্রবার (১৬ মে) সকাল থেকে স্থল ও আকাশ থেকে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। সেখানকার বেঈত লাহিয়া শহরে দখলদারদের ট্যাংকও প্রবেশ করেছে। বেঈত লাহিয়ার সাধারণ মানুষ জানিয়েছে, গত মার্চের পর উত্তর গাজায় এটি ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা। শুক্রবার সকাল থেকে ব্যাপক গোলাবর্ষণ ও মিসাইল ছোড়া শুরু করে তারা। এ সময় সেখানে ট্যাংকও প্রবেশ করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী প্রথমে ধোঁয়ার বোমা ছোড়ে। এরপর কাছাকাছি অবস্থান থেকে গোলাবর্ষণ শুরু করে। এরপর বেঈত লাহিয়ার আল-সালাতিনের দিকে ট্যাংক নিয়ে অগ্রসর হয় তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান একটি স্কুল ঘিরে ফেলে। যেখানে শত শত বেসামরিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ১২০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যার পর আজ নতুন করে আরও ৫০ জনকে হত্যা করেছে দখলদাররা। গাজায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। এ সময়ের মধ্যে সেখানে একটি কণাও ঢুকতে দেয়নি তারা। এতে গাজার মানুষ খেয়ে না খেয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গতকাল বলেছেন, গাজার মানুষের অভুক্ত থাকায় বিষয়টিতে তারা উদ্বিগ্ন। তবে দখলদার ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা না করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ সরাসরি স্বীকার করেছেন গাজার মানুষ অভুক্ত থাকছেন। এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটি স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। সূত্র: বিবিসি