এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপের পর এশিয়ার শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবারের পর আজ নতুন সপ্তাহেও সেই ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে যখন সমালোচনায় মুখর গোটা বিশ্ব, তাতে খুব একটা পাত্তা দিয়ে তিনি বলছেন, ‘ওষুধে কাজ দিচ্ছে’।
গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর করা হবে।সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকালে এশিয়ার বাজার ধুঁকছে। নতুন করে পতন ঘটেছে শেয়ারের দামে।
আজ সকালে জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচকের পতন হয়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ; হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচকের পতন হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই সঙ্গে হংকংয়ের শেয়ার বাজারে নিবন্ধিত যুক্তরাজ্যের ব্যাংক এইচএসবিসি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডেরও পতন হয়েছে।
তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুরেও শেয়ারের দাম কমেছে। তাইওয়ানে কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ এবং সিঙ্গাপুরে কমেছে প্রায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। শেয়ার বাজারের বেসামাল পরিস্থিতির দায় নিতে চান না ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘শেয়ার বাজারের কী হবে, আমি সেটা বলতে পারব না। কিন্তু আমাদের দেশ অনেক বেশি শক্তিশালী।’
শেয়ার বাজারকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করছেন না এবং করতে চান না, জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার কথায়, ‘আমি চাই না কোনো বাজারে ধস নামুক, কোথাও কোনো ক্ষতি হোক। কিন্তু কখনও কখনও কিছু জিনিস ঠিক করার জন্য ওষুধ দিতে হয়। আমি সেটাই করেছি।’
এই প্রসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন ট্রাম্প। বলেন, ‘এত বছর ধরে অন্যান্য দেশ আমাদের সঙ্গে ভীষণ খারাপ আচরণ করে এসেছে। কারণ, আমাদের মূর্খ নেতৃত্ব তাদের সেই আচরণ করতে দিয়েছে। আবার আমেরিকাকে ‘মহান’ বানাব।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। শুল্ক নীতির প্রতিবাদে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেন কয়েক লাখ মানুষ। ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিনসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহরের রাজপথে নেমে ট্রাম্পের শুল্কনীতির কঠোর সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা।