সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবন্দি জীবনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চূড়ান্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দলটির শীর্ষ নেতারা লাহোরে সমবেত হয়েছেন।
দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে কারাগারে আটক আছেন পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। তার মুক্তির দাবিতে পূর্ববর্তী আন্দোলনগুলো দৃশ্যমান সাফল্য না পেলেও এবারের আন্দোলনকে ‘চূড়ান্ত’ উল্লেখ করে নতুন করে জোর দিচ্ছে দলটি। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর বলেন, ইমরান খানের নির্দেশেই এ আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং ৫ আগস্টের মধ্যেই তা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
গেল জুনে গান্দাপুর ঘোষণা দিয়েছিলেন, ঈদুল আজহার পর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে পিটিআই। সেই ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার তার নেতৃত্বে একটি বহর লাহোরে পৌঁছে আন্দোলনের সূচনা করে। এ সময় তিনি বলেন, “ইমরান খান কোনো অপরাধ ছাড়াই বন্দি। তাই এখন আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ প্রদেশ ও জেলার প্রেক্ষাপটে আন্দোলন পরিকল্পনা করতে হবে।”
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম ধাপে প্রদেশ ও জেলা পর্যায়ে আন্দোলন শুরু হবে। এরপর তা ধাপে ধাপে পুরো দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আন্দোলনের রুট ও অবস্থান শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
পাঞ্জাব প্রদেশে ইতোমধ্যেই দলীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডন। আলিয়া হামজা মালিকের নেতৃত্বে সেখানে সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে যাতে আগস্টের শুরুতেই আন্দোলন সর্বোচ্চ তীব্রতায় পৌঁছে।
পিটিআই’র মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ইমরান খানের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জনমতকে ঐক্যবদ্ধ করা।