ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ফুরিয়ে গেছে কাফনের কাপড়, নিহতদের দাফনে দুর্ভোগ

এবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় কাফনের কাপড় প্রায় ফুরিয়ে গেছে। মর্মান্তিক এই পরিস্থিতিতে নিহতদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের যথাযথভাবে শেষ বিদায় জানাতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। খবর আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শনিবার (১৭ মে) সকাল থেকে গাজার হাসপাতালগুলোতে আহত ফিলিস্তিনিদের ঢল নেমেছে, যা তাদের ধারণক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। একদিকে চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব, অন্যদিকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য কাফনের কাপড় ও সাবানের দুষ্প্রাপ্যতা— পুরো পরিস্থিতিকে আরও অমানবিক করে তুলেছে। হাসপাতালগুলোতে আর কোনো কাফন অবশিষ্ট নেই, ফলে হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনদের জন্য যথাযথ দাফনের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে নির্বিচারে ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে কেঁপে উঠছে চারিদিক, আর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন অসংখ্য মানুষ।

গ্লিয়া ইন্টারন্যাশনালের মেডিকেল স্বেচ্ছাসেবক আফিফ নেসৌলি জানিয়েছেন, গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ আরও ভয়াবহ হচ্ছে। উত্তর গাজায় সহিংসতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও সরঞ্জামের অভাবে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

দীর্ঘদিনের অবরোধের কারণে এমনিতেই গাজার মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তার ওপর এই লাগাতার হামলায় পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ক্ষুধার্ত শিশুরা ময়লাযুক্ত রুটি ও মাটি থেকে কুড়ানো চাল খেতে বাধ্য হচ্ছে। শুক্রবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরপর হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

“দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না”— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী

গাজায় ফুরিয়ে গেছে কাফনের কাপড়, নিহতদের দাফনে দুর্ভোগ

আপডেট সময় ১২:২৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

এবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় কাফনের কাপড় প্রায় ফুরিয়ে গেছে। মর্মান্তিক এই পরিস্থিতিতে নিহতদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের যথাযথভাবে শেষ বিদায় জানাতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। খবর আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শনিবার (১৭ মে) সকাল থেকে গাজার হাসপাতালগুলোতে আহত ফিলিস্তিনিদের ঢল নেমেছে, যা তাদের ধারণক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। একদিকে চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব, অন্যদিকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য কাফনের কাপড় ও সাবানের দুষ্প্রাপ্যতা— পুরো পরিস্থিতিকে আরও অমানবিক করে তুলেছে। হাসপাতালগুলোতে আর কোনো কাফন অবশিষ্ট নেই, ফলে হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনদের জন্য যথাযথ দাফনের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে নির্বিচারে ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে কেঁপে উঠছে চারিদিক, আর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন অসংখ্য মানুষ।

গ্লিয়া ইন্টারন্যাশনালের মেডিকেল স্বেচ্ছাসেবক আফিফ নেসৌলি জানিয়েছেন, গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ আরও ভয়াবহ হচ্ছে। উত্তর গাজায় সহিংসতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও সরঞ্জামের অভাবে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

দীর্ঘদিনের অবরোধের কারণে এমনিতেই গাজার মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তার ওপর এই লাগাতার হামলায় পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ক্ষুধার্ত শিশুরা ময়লাযুক্ত রুটি ও মাটি থেকে কুড়ানো চাল খেতে বাধ্য হচ্ছে। শুক্রবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরপর হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে।