ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে মিলাদুন্নবীর প্রতিযোগিতায় হিন্দু শিক্ষক বিচারক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:১১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫২৭ বার পড়া হয়েছে

যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সাতজন হিন্দু শিক্ষককে বিচারকের দায়িত্ব দেওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের দিবা ও প্রভাতী শিফটে আলাদা আলাদা বিচারকমণ্ডলী গঠন করা হয়। প্রভাতী শিফটে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পান পলাশ কুমার রায়, রাজু বিশ্বাস ও শ্রাবণী পাল। দিবা শিফটে তৃতীয়, ষষ্ঠ, অষ্টম ও দশম শ্রেণির জন্য বিচারকের দায়িত্ব পান অনিতা রানী দাশ, নন্দকুমার অধিকারী, অমিতা গুপ্ত ও মৃণালিনী ভদ্র। বিদ্যালয়ের ৫১ জন শিক্ষকের মধ্যে একমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী সাত শিক্ষকই ইসলামি প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন।

প্রতিযোগিতার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, ইসলামি সংগীত, ইসলামিক কুইজ ও রচনা। তবে ইসলামি বিষয়ের গভীর জ্ঞান ছাড়া হিন্দু শিক্ষকরা বিচারক হিসেবে কীভাবে সঠিক ভূমিকা রাখবেন—এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক অভিভাবক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, “যশোরে মুসলিম শিক্ষকের অভাব নেই। অথচ এমন একটি পবিত্র প্রতিযোগিতায় হিন্দু শিক্ষকদের বিচারক করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।”

বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকে নিজস্ব সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মতামত না নেওয়ায় এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা সবার জন্য বিব্রতকর।

অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিযোগিতার মূল দায়িত্ব মুসলিম শিক্ষকরাই পালন করেছেন। হিন্দু শিক্ষকদের কেবল কুইজের উত্তর মিলিয়ে দেখার মতো সীমিত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” তিনি দাবি করেন, সবাইকে কাজে লাগানোর জন্যই তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তবে ঘটনাটি নিয়ে বিদ্যালয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে, এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলছেন—এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে ইসলামি প্রতিযোগিতার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করবে কি না।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফটিকছড়িতে কিশোরকে বেঁধে পেটানোয় মৃত্যু: দুইজন হাসপাতালে, দুই যুবক আটক

ঈদে মিলাদুন্নবীর প্রতিযোগিতায় হিন্দু শিক্ষক বিচারক

আপডেট সময় ১১:১১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সাতজন হিন্দু শিক্ষককে বিচারকের দায়িত্ব দেওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের দিবা ও প্রভাতী শিফটে আলাদা আলাদা বিচারকমণ্ডলী গঠন করা হয়। প্রভাতী শিফটে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পান পলাশ কুমার রায়, রাজু বিশ্বাস ও শ্রাবণী পাল। দিবা শিফটে তৃতীয়, ষষ্ঠ, অষ্টম ও দশম শ্রেণির জন্য বিচারকের দায়িত্ব পান অনিতা রানী দাশ, নন্দকুমার অধিকারী, অমিতা গুপ্ত ও মৃণালিনী ভদ্র। বিদ্যালয়ের ৫১ জন শিক্ষকের মধ্যে একমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী সাত শিক্ষকই ইসলামি প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন।

প্রতিযোগিতার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, ইসলামি সংগীত, ইসলামিক কুইজ ও রচনা। তবে ইসলামি বিষয়ের গভীর জ্ঞান ছাড়া হিন্দু শিক্ষকরা বিচারক হিসেবে কীভাবে সঠিক ভূমিকা রাখবেন—এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক অভিভাবক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, “যশোরে মুসলিম শিক্ষকের অভাব নেই। অথচ এমন একটি পবিত্র প্রতিযোগিতায় হিন্দু শিক্ষকদের বিচারক করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।”

বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকে নিজস্ব সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মতামত না নেওয়ায় এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা সবার জন্য বিব্রতকর।

অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিযোগিতার মূল দায়িত্ব মুসলিম শিক্ষকরাই পালন করেছেন। হিন্দু শিক্ষকদের কেবল কুইজের উত্তর মিলিয়ে দেখার মতো সীমিত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” তিনি দাবি করেন, সবাইকে কাজে লাগানোর জন্যই তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তবে ঘটনাটি নিয়ে বিদ্যালয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে, এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলছেন—এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে ইসলামি প্রতিযোগিতার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করবে কি না।