বিএনপির পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বক্তব্য সবসময় মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও দলের প্রতি আনুগত্যের ভিত্তিতে ছিল।
চিঠিতে তিনি লেখেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি কখনো কুরুচিপূর্ণ কথা বলেননি। বরং আন্দোলনের শহিদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, তার বক্তব্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার কোনো উপাদান নেই, বরং তিনি জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন।
ফজলুর রহমান জানান, কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি ছাত্রদের গণতন্ত্রের দাবিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। পাশাপাশি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ভেঙে দেওয়ার পর কারাবন্দি নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে তিনি ধারাবাহিকভাবে বক্তব্য রেখেছেন।
তিনি শোকজের জবাবে আরও অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জামাত-শিবির নিজেদের ভ্যানগার্ড দাবি করে আন্দোলনের ফসল কুক্ষিগত করতে চাইছে। এ বিষয়ে তিনি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তিকে ‘কালো শক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।
তার ভাষায়, জুলাই আন্দোলনের দুটি রূপ ছিল—একটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন যা স্বৈরাচারী সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই; অপরটি জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্র, যারা আন্দোলনের বিজয়কে ভিন্ন খাতে নিতে চাইছে।
চিঠিতে তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বিএনপির ক্ষতি হয় এমন কোনো বক্তব্য তিনি কখনো দেননি বা দেবেন না। তবে কোনো বক্তব্যে যদি অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে থাকে, তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করতে প্রস্তুত।
সবশেষে ফজলুর রহমান দলের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, বিএনপির বৃহত্তর স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।