জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অদম্য ২৪’ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্যানেল ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।
ঘোষিত প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে মনোনীত হয়েছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মীর মশাররফ হল ছাত্রদল সভাপতি শেখ সাদী হাসান। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আনা হয়েছে ১৩ নম্বর ছাত্রী হল ছাত্রদল সভাপতি তানজিলা হোসাইন বৈশাখীকে। যুগ্ম সম্পাদক (পুরুষ) পদে সাজ্জাদুল ইসলাম এবং যুগ্ম সম্পাদক (নারী) পদে আঞ্জুমান আরা ইকরা মনোনয়ন পেয়েছেন।
তবে ঘোষিত প্যানেল নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। অভিযোগ উঠেছে, এতে সাবেক ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট ও হত্যা মামলার আসামিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। সহসমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন (নারী) পদে প্রার্থী কাজী মৌসুমী আফরোজ আগে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে নির্বাচনে অংশ নেবেন হামিদুল্লাহ সালমান, যিনি শামীম মোল্লা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এ নিয়ে ছাত্রদলের ভেতরেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলেন, “আমরা ভাবিনি, এ রকম একটি প্যানেল হবে। গ্রুপিংয়ের কারণে অনেকেই জায়গা পাননি।”
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর দাবি করেন, প্যানেলে জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থীদের রাখা হয়েছে এবং নারী ভোটারের সংখ্যা বিবেচনায় জিএস পদে একজন নারী প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়েছে।
প্যানেল ঘোষণার পর শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অনন্যা ফারিয়া স্বতন্ত্রভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, “প্যানেলে কে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবেন, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে কে কার লোক।”
এ অবস্থায় শাখা ছাত্রদল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সতর্ক করেছে, মনোনীত প্রার্থী ছাড়া কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।