ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদাবরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় তিন পুলিশ জখম, গ্রেপ্তার ৫

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:১৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬১১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীতে আবারও বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম। এবার তাদের টার্গেটে পড়ল পুলিশও। সোমবার রাতে রাজধানীর আদাবরে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে জনি-রনির নেতৃত্বাধীন গ্যাং। দু’জনই কুখ্যাত কব্জি কাটা আনোয়ার গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য।

ঘটনার দিন রাতে শ্যামলী হাউজিংয়ে পলাশ নামের এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে জনি-রনির দল। খবর পেয়ে ট্রিপল নাইনে ফোনের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। কনস্টেবল আল-আমিনসহ তিনজনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনি-রনি দীর্ঘদিন ধরে আদাবর-১০ নম্বর বালুর মাঠকে ঘাঁটি বানিয়ে পুরো এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে। জিম্মি করে অর্থ আদায়, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে আহত কিংবা হত্যা করা তাদের নিয়মিত কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। কুখ্যাত আনোয়ার কারাগারে থাকলেও তার সহযোগী এই দুই ভাই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। একাধিকবার গ্রেফতার হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই তারা জামিনে বের হয়ে পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হয়।

হামলার ঘটনায় আদাবর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে গ্যাংয়ের মূলহোতা জনি-রনি এখনও পলাতক। তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই ঘটনার পর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিনের মতো কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্মে তারা অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি ও খুনোখুনিতে এলাকার স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। তারা বলছেন, এই গ্যাং কালচার থেকে মুক্তি পাওয়া এখন সবচেয়ে বড় চাওয়া।

জনপ্রিয় সংবাদ

শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা বিএনপি নেতাদের, প্রতিবাদে করায় গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

আদাবরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় তিন পুলিশ জখম, গ্রেপ্তার ৫

আপডেট সময় ০৯:১৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীতে আবারও বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম। এবার তাদের টার্গেটে পড়ল পুলিশও। সোমবার রাতে রাজধানীর আদাবরে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে জনি-রনির নেতৃত্বাধীন গ্যাং। দু’জনই কুখ্যাত কব্জি কাটা আনোয়ার গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য।

ঘটনার দিন রাতে শ্যামলী হাউজিংয়ে পলাশ নামের এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে জনি-রনির দল। খবর পেয়ে ট্রিপল নাইনে ফোনের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। কনস্টেবল আল-আমিনসহ তিনজনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনি-রনি দীর্ঘদিন ধরে আদাবর-১০ নম্বর বালুর মাঠকে ঘাঁটি বানিয়ে পুরো এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে। জিম্মি করে অর্থ আদায়, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে আহত কিংবা হত্যা করা তাদের নিয়মিত কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। কুখ্যাত আনোয়ার কারাগারে থাকলেও তার সহযোগী এই দুই ভাই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। একাধিকবার গ্রেফতার হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই তারা জামিনে বের হয়ে পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হয়।

হামলার ঘটনায় আদাবর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে গ্যাংয়ের মূলহোতা জনি-রনি এখনও পলাতক। তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই ঘটনার পর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিনের মতো কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্মে তারা অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি ও খুনোখুনিতে এলাকার স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। তারা বলছেন, এই গ্যাং কালচার থেকে মুক্তি পাওয়া এখন সবচেয়ে বড় চাওয়া।