ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় সমাবেশে যাওয়ার অপরাধে ভোলায় জামায়াত কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৭ বার পড়া হয়েছে

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের এক কর্মী ও তার ছেলে গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মোঃ সাদেক খান (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ কাউসার হোসেনকে (১৪) স্থানীয় সন্ত্রাসী মুন্না, পলিন, হেলালসহ চার-পাঁচজন মিলে মারধর করে রক্তাক্ত করে।

অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ জুন জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশ নেওয়ার কারণেই তাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়।

আহত সাদেক খান অভিযোগ করে বলেন, “আমি জামায়াত করি বলে আগে থেকেই আমাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। আজকে তারা এসএস ফাইভ দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। নাক ফেটে যায় এবং আমার বাড়িঘরে হামলার হুমকি দেয়। এমনকি চরের গরু নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছে।”

আহতের ছেলে মোহাম্মদ কাউসার গঙ্গাপুর গোলাম রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। হামলার ভয়ে দীর্ঘ দুই মাস ধরে স্কুলে যেতে পারেনি। বর্তমানে তারা বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোঃ ইমরান হোসেন জানান, “শক্ত লাঠির আঘাতে সাদেক খানের নাকের হাড় ভেঙে গেছে এবং বুকের পাজরে গুরুতর আঘাত পেয়েছে।”

এ ঘটনায় উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘গঙ্গাপুর ইউনিয়নের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী সাদেক খানের ওপর সন্ত্রাসী মুন্না ও তার সহযোগীদের এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় সমাবেশে যাওয়ার অপরাধে ভোলায় জামায়াত কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের এক কর্মী ও তার ছেলে গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মোঃ সাদেক খান (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ কাউসার হোসেনকে (১৪) স্থানীয় সন্ত্রাসী মুন্না, পলিন, হেলালসহ চার-পাঁচজন মিলে মারধর করে রক্তাক্ত করে।

অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ জুন জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশ নেওয়ার কারণেই তাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়।

আহত সাদেক খান অভিযোগ করে বলেন, “আমি জামায়াত করি বলে আগে থেকেই আমাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। আজকে তারা এসএস ফাইভ দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। নাক ফেটে যায় এবং আমার বাড়িঘরে হামলার হুমকি দেয়। এমনকি চরের গরু নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছে।”

আহতের ছেলে মোহাম্মদ কাউসার গঙ্গাপুর গোলাম রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। হামলার ভয়ে দীর্ঘ দুই মাস ধরে স্কুলে যেতে পারেনি। বর্তমানে তারা বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোঃ ইমরান হোসেন জানান, “শক্ত লাঠির আঘাতে সাদেক খানের নাকের হাড় ভেঙে গেছে এবং বুকের পাজরে গুরুতর আঘাত পেয়েছে।”

এ ঘটনায় উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘গঙ্গাপুর ইউনিয়নের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী সাদেক খানের ওপর সন্ত্রাসী মুন্না ও তার সহযোগীদের এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’