কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের নেতারা অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্টের পর গঠিত নতুন বাংলাদেশে ছাত্রলীগের মতোই ছাত্রদল ধর্ষণ ও সহিংসতার রাজনীতি শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ অভিযোগ তোলেন।
ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম নতুন বাংলাদেশে মা-বোনেরা নিরাপদ থাকবে। কিন্তু আজ ছাত্রলীগের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে ছাত্রদল। তারা ক্যাম্পাসে বহিরাগত ঢুকিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, এমনকি জুলাই শহীদের মেয়েকেও ধর্ষণের পর বিচারহীনতায় আত্মহত্যার মুখে পড়তে হয়েছে। নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি যদি রক্ত ও ত্যাগ হয়, তবে এ ধরনের ঘটনা ভয়াবহ বার্তা বহন করে।”
মানববন্ধনে শাখা সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, “ছাত্রদল তাদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করছে নতুন বাংলাদেশকে। রাবিতে তারা নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটূক্তি করেছে, ঢাবি ও চবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা উস্কে দিয়েছে। তাদের রাজনীতি এখন আদর্শ নয়, বরং সন্ত্রাস ও পেশিশক্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের অফিশিয়াল পেইজসহ বিভিন্ন জায়গায় “একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর” স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, যা ছাত্রলীগের পুরনো সহিংস রাজনীতির পুনরাবৃত্তি। “এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের লাল কার্ড দেখাবে। আমরা এমন ক্যাম্পাস চাই যেখানে পড়াশোনার পরিবেশ অক্ষুণ্ন থাকবে,”—যোগ করেন তিনি।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক শেখ আল আমিন, আন্তর্জাতিক ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক সম্পাদক হাসানুল বান্না আলি এবং সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।