ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবি ছাত্রীদের হাতে মাসে ৩ হাজার টাকার সহায়তা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৭৯ বার পড়া হয়েছে

আবাসন সংকট নিরসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হলের ৫৮৩ জন শিক্ষার্থী পাচ্ছেন মাসিক তিন হাজার টাকা করে আপৎকালীন সহায়তা। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস (১ জুলাই) থেকে সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক একাউন্টে এই অর্থ প্রদান শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, অসচ্ছল ছাত্রীদের দুরবস্থা লাঘবের লক্ষ্যে জানুয়ারিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ধরনের আর্থিক সহায়তা চালু হলো ঢাবিতে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমামা ফাতেমা বলেন, “অনেক মেয়ে বাইরে বাসা ভাড়া করে থাকতে পারছিল না। আর্থিক অক্ষমতার কারণে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। আন্দোলনের পর প্রশাসনকে জানালে তারা এই পদক্ষেপ নেয়।” তবে তার অভিযোগ—সব শিক্ষার্থী এখনও সহায়তার আওতায় আসতে পারেনি।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “এটি সম্পূর্ণ আপৎকালীন উদ্যোগ। বাজেট ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে আমরা চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে সহায়তার পরিধি আরও বাড়ানো হবে।”

উপাচার্য জানান, চীনের অর্থায়নে নতুন একটি ছাত্রী হল নির্মাণ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি চারটি নতুন ছাত্রী হল ও পাঁচটি ছাত্র হল নির্মাণের বড় প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট অনেকটাই কমবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি ছাত্রীদের হাতে মাসে ৩ হাজার টাকার সহায়তা

আপডেট সময় ১২:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আবাসন সংকট নিরসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হলের ৫৮৩ জন শিক্ষার্থী পাচ্ছেন মাসিক তিন হাজার টাকা করে আপৎকালীন সহায়তা। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস (১ জুলাই) থেকে সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক একাউন্টে এই অর্থ প্রদান শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, অসচ্ছল ছাত্রীদের দুরবস্থা লাঘবের লক্ষ্যে জানুয়ারিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ধরনের আর্থিক সহায়তা চালু হলো ঢাবিতে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমামা ফাতেমা বলেন, “অনেক মেয়ে বাইরে বাসা ভাড়া করে থাকতে পারছিল না। আর্থিক অক্ষমতার কারণে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। আন্দোলনের পর প্রশাসনকে জানালে তারা এই পদক্ষেপ নেয়।” তবে তার অভিযোগ—সব শিক্ষার্থী এখনও সহায়তার আওতায় আসতে পারেনি।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “এটি সম্পূর্ণ আপৎকালীন উদ্যোগ। বাজেট ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে আমরা চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে সহায়তার পরিধি আরও বাড়ানো হবে।”

উপাচার্য জানান, চীনের অর্থায়নে নতুন একটি ছাত্রী হল নির্মাণ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি চারটি নতুন ছাত্রী হল ও পাঁচটি ছাত্র হল নির্মাণের বড় প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট অনেকটাই কমবে।