ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই অভ্যুত্থানের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৫২৯ বার পড়া হয়েছে

এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

ওই পোস্টে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম লিখেছেন, “জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন‍্য কোর্ট রুম ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ট্রায়ালের যেকোনও পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ‍্যমে প্রচারিত হতে পারবে।”

এদিকে তাজুল ইসলামের পোস্ট শেয়ার করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখেছেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন‍্য কোর্টরুমে ডিজিটাল প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করা হয়েছে বলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন। ট্রায়ালের যেকোনও পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ‍্যমে প্রচারিত হতে পারবে।

আমার অভিমত, পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত। এতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। বিচার নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ হবে। বিচারকের অনুমতিক্রমে সম্প্রচার করার বিধান করা হলে, বিচারকরা বিতর্কিত হতে পারেন। কোন অংশটুকু সম্প্রচারযোগ‍্য তা নির্ধারণ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি হবে। এছাড়া এত বড় একটা বিচার তো স্বচক্ষে দেখার অধিকার সাধারণ মানুষের আছে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের সব আদালতের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত। এতে বিচার বিভাগের দুর্নীতি কমে যাবে। টাউট উচ্ছেদ হবে। আইনজীবীদের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে। আইন পেশার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বাড়বে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের রুল জারি

জুলাই অভ্যুত্থানের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

আপডেট সময় ১০:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

ওই পোস্টে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম লিখেছেন, “জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন‍্য কোর্ট রুম ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ট্রায়ালের যেকোনও পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ‍্যমে প্রচারিত হতে পারবে।”

এদিকে তাজুল ইসলামের পোস্ট শেয়ার করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখেছেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন‍্য কোর্টরুমে ডিজিটাল প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করা হয়েছে বলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন। ট্রায়ালের যেকোনও পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ‍্যমে প্রচারিত হতে পারবে।

আমার অভিমত, পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত। এতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। বিচার নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ হবে। বিচারকের অনুমতিক্রমে সম্প্রচার করার বিধান করা হলে, বিচারকরা বিতর্কিত হতে পারেন। কোন অংশটুকু সম্প্রচারযোগ‍্য তা নির্ধারণ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি হবে। এছাড়া এত বড় একটা বিচার তো স্বচক্ষে দেখার অধিকার সাধারণ মানুষের আছে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের সব আদালতের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত। এতে বিচার বিভাগের দুর্নীতি কমে যাবে। টাউট উচ্ছেদ হবে। আইনজীবীদের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে। আইন পেশার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বাড়বে।