ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দল নিষিদ্ধ করলে নির্বাচন কাদের নিয়ে হবে, প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলে নির্বাচন কাদেরকে নিয়ে হবে বলে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে যদি নিষিদ্ধ চাইতেই হয় তাহলে ২৮টা দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা দলকে নিষিদ্ধ চাইতে হবে। তাহলে নির্বাচনটা কাদেরকে নিয়ে হবে? এদেশে যারা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চাচ্ছে তারা যদি পরে বলে- আমরাও নির্বাচন করবো না। তাহলে এদেশে নির্বাচনের কী হবে? তাদের এই দাবির পিছনে উদ্দেশ্য ভিন্ন হতে পারে। নিজেদের অতিরিক্ত সুবিধার জন্য হয়তোবা তারা আরও অনেক রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধ কামনা করতে পারে।মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।আওয়ামী লীগের বিষয়টা এখানে সম্পূর্ণ আলাদা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা গণহত্যার জন্য দায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য দায়ী। সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে, সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রী, এমপি এবং দোসররা ছিল- তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত না হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে দেশে একটা সাংবিধানিক শূন্যতা বিরাজ করতে পারে। সেই শূন্যতার মধ্যে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে। সেই ঐক্য বিনষ্ট হলে পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে। তাদের হাত ধরে আঞ্চলিক শক্তিগুলো এখানে জড়িত হয়ে যেতে পারে। একটি বৈশ্বিক শক্তিও সেই সুযোগটা নিতে পারে।তিনি বলেন, এই আশঙ্কাগুলো প্রকাশ করেই বলেছি, যদি আমরা জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, তাহলে এই আশঙ্কাগুলো একদম উড়িয়ে দেওয়া যায় না। শুধু জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে তা নয়, এখানে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত হয়ে যেতে পারে।বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে, আরও হবে। বিচার চলছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার আমরা সর্বপ্রথম দাবি করেছিলাম। গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। তারা এদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না এবং নির্বাচন করতে পারবে কি পারবে না- সেটা আদালতে নির্ধারণ করবে। সেই প্রক্রিয়ায় যদি আরও কোন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, সেটা আদালতে উত্থাপন করা যেতে পারে। আইন আগে ছিল না, এখন তো সংশোধিত হয়েছে। এটা আমাদের এখনকার বক্তব্য নয়, আগের অবস্থান।

জনপ্রিয় সংবাদ

দল নিষিদ্ধ করলে নির্বাচন কাদের নিয়ে হবে, প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের

আপডেট সময় ০৯:২২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলে নির্বাচন কাদেরকে নিয়ে হবে বলে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে যদি নিষিদ্ধ চাইতেই হয় তাহলে ২৮টা দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা দলকে নিষিদ্ধ চাইতে হবে। তাহলে নির্বাচনটা কাদেরকে নিয়ে হবে? এদেশে যারা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চাচ্ছে তারা যদি পরে বলে- আমরাও নির্বাচন করবো না। তাহলে এদেশে নির্বাচনের কী হবে? তাদের এই দাবির পিছনে উদ্দেশ্য ভিন্ন হতে পারে। নিজেদের অতিরিক্ত সুবিধার জন্য হয়তোবা তারা আরও অনেক রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধ কামনা করতে পারে।মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।আওয়ামী লীগের বিষয়টা এখানে সম্পূর্ণ আলাদা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা গণহত্যার জন্য দায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য দায়ী। সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে, সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রী, এমপি এবং দোসররা ছিল- তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত না হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে দেশে একটা সাংবিধানিক শূন্যতা বিরাজ করতে পারে। সেই শূন্যতার মধ্যে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে। সেই ঐক্য বিনষ্ট হলে পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে। তাদের হাত ধরে আঞ্চলিক শক্তিগুলো এখানে জড়িত হয়ে যেতে পারে। একটি বৈশ্বিক শক্তিও সেই সুযোগটা নিতে পারে।তিনি বলেন, এই আশঙ্কাগুলো প্রকাশ করেই বলেছি, যদি আমরা জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, তাহলে এই আশঙ্কাগুলো একদম উড়িয়ে দেওয়া যায় না। শুধু জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে তা নয়, এখানে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত হয়ে যেতে পারে।বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে, আরও হবে। বিচার চলছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার আমরা সর্বপ্রথম দাবি করেছিলাম। গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। তারা এদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না এবং নির্বাচন করতে পারবে কি পারবে না- সেটা আদালতে নির্ধারণ করবে। সেই প্রক্রিয়ায় যদি আরও কোন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, সেটা আদালতে উত্থাপন করা যেতে পারে। আইন আগে ছিল না, এখন তো সংশোধিত হয়েছে। এটা আমাদের এখনকার বক্তব্য নয়, আগের অবস্থান।