ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসলামি দল নয়, বাংলাদেশপন্থি নতুন জোটের নেতৃত্বে আসতে চায় এনসিপি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৩২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো ইসলামি দলের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশপন্থি দলগুলোর সঙ্গে নতুন জোট গড়তে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে, এ মাসের মধ্যেই তারা নিবন্ধন পাবে। এরই মধ্যে দেশব্যাপী সাংগঠনিক বিস্তৃতি ও নির্বাচনি প্রস্তুতির কাজও চলছে।

জুলাই পদযাত্রার মাধ্যমে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে রাজনীতির মূলধারায় প্রবেশ করা এনসিপি সাম্প্রতিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে হতাশাজনক ফল করলেও জাতীয় রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।

দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নতুন সংগঠন হওয়ায় তৃণমূলে এখনো পৌঁছাতে পারেনি, তবে এটি দলগত ব্যর্থতা নয়। যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, আমাদের ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে পৌঁছাতে না পারলেও মূল রাজনৈতিক লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি।

এনসিপি স্পষ্ট করেছে—তারা ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট করবে না। বরং বাংলাদেশপন্থি ও মধ্যপন্থি দলগুলোকে নিয়ে একটি নতুন নির্বাচনি জোট গঠনের কথা ভাবছে, যেখানে চালকের আসনে থাকবে এনসিপি নিজেই। সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, একদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেব। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি আমাদের নেতৃত্বে জোট হবে।”

জাবেদ রাসিন জানান, চিন্তার জায়গায় মিল থাকলে বাংলাদেশপন্থি ও মধ্যপন্থি দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে, তবে জোটের নেতৃত্ব নেবে এনসিপি। বিএনপি বা জামায়াত—দুটো পক্ষের সঙ্গেই তাদের সরাসরি বৈরিতা বা সখ্যতা নেই বলে দাবি দলটির। তাদের মতে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না। তাই দ্রুত নির্বাচনের পথ সুগম করতে দলগুলোকে এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘জামায়াতের আন্দোলন দেশে অস্থিতিশীলতা ডেকে আনতে পারে’

ইসলামি দল নয়, বাংলাদেশপন্থি নতুন জোটের নেতৃত্বে আসতে চায় এনসিপি

আপডেট সময় ১২:৩২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো ইসলামি দলের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশপন্থি দলগুলোর সঙ্গে নতুন জোট গড়তে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে, এ মাসের মধ্যেই তারা নিবন্ধন পাবে। এরই মধ্যে দেশব্যাপী সাংগঠনিক বিস্তৃতি ও নির্বাচনি প্রস্তুতির কাজও চলছে।

জুলাই পদযাত্রার মাধ্যমে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে রাজনীতির মূলধারায় প্রবেশ করা এনসিপি সাম্প্রতিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে হতাশাজনক ফল করলেও জাতীয় রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।

দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নতুন সংগঠন হওয়ায় তৃণমূলে এখনো পৌঁছাতে পারেনি, তবে এটি দলগত ব্যর্থতা নয়। যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, আমাদের ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে পৌঁছাতে না পারলেও মূল রাজনৈতিক লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি।

এনসিপি স্পষ্ট করেছে—তারা ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট করবে না। বরং বাংলাদেশপন্থি ও মধ্যপন্থি দলগুলোকে নিয়ে একটি নতুন নির্বাচনি জোট গঠনের কথা ভাবছে, যেখানে চালকের আসনে থাকবে এনসিপি নিজেই। সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, একদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেব। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি আমাদের নেতৃত্বে জোট হবে।”

জাবেদ রাসিন জানান, চিন্তার জায়গায় মিল থাকলে বাংলাদেশপন্থি ও মধ্যপন্থি দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে, তবে জোটের নেতৃত্ব নেবে এনসিপি। বিএনপি বা জামায়াত—দুটো পক্ষের সঙ্গেই তাদের সরাসরি বৈরিতা বা সখ্যতা নেই বলে দাবি দলটির। তাদের মতে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না। তাই দ্রুত নির্বাচনের পথ সুগম করতে দলগুলোকে এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।