ওয়ানডে ফরম্যাটে আগের এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ছিল ভারত। এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়ে ৫ উইকেটে জয় পেয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখলো সুরিয়া কুমার ইয়াদভের নেতৃত্বাধীন ভারত।
টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। দুই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ভালো সূচনা করে পাকিস্তান। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন শাহিবজাদা ফারহান। তবে আর ৭ রান যোগ করতেই বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হন তিনি। সাইম আইউব ১৪ রানে ফেরেন, শূন্য রানে আউট হন মোহাম্মদ হারিস।
এরপর ওপেনার ফখর জামান ৪৬ রান করে বরুণের দ্বিতীয় শিকার হন। হোসেন তালাতকে সাজঘরের পথ দেখান আক্সার প্যাটেল। পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা মাত্র ৮ রানে কুলদীপ ইয়াদভের শিকার হন। একে একে শাহিন আফ্রিদিসহ বাকি ব্যাটাররা ফিরলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানে থামে তাদের ইনিংস।
১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ভারত। ২০ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় তারা। ফাহিম আশরাফ ফেরান অভিষেক শর্মাকে, শাহিন আফ্রিদি আউট করেন সুরিয়া কুমার ইয়াদভকে, ফাহিম ফেরান শুবমান গিলকে। পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৬।
এরপর সাঞ্জু স্যামসন ও তিলক ভার্মার জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। দলের রান ৭৭ হলে আবরার আহমেদের বলে স্যামসন ফেরেন। এরপর শিভম দুবেকে নিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন তিলক ভার্মা। দুবে ২২ বলে ৩৩ রান করে ফাহিমের বলে ফেরেন।
দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন তিলক ভার্মা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন তিনি এবং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬৯ রান নিয়ে। অপর প্রান্তে ছিলেন রিংকু সিং, যিনি বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ শেষ করেন।
দুই বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখে ভারত।