এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় ক্রিকেট দল মাঠে স্বাভাবিক উদযাপনের পরে শিরোপা নেওয়া থেকে বিরত থেকেই ড্রেসিংরুমে চলে গেলে বিপুল অস্থিরতা দেখা যায়। ম্যাচ শেষে রিংকু সিংয়ের বাউন্ডারি মারার পর তিলক ভার্মা এবং অন্যান্য সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দিমুহূর্ত কাটলেও পরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমে ঢুকে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় মাঠে ফিরে আসেনি।
ঘটনার পর যে খবরটি আসে তা হলো—এসিসি ও পিসিবি’র চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভির কাছ থেকে ভারত শিরোপা গ্রহণ করবেন না। খবর পেয়ে বিপরীতে পাকিস্তানকে রানার্স-আপ হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের মধ্যে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ক্ষোভ দেখা দেয়; অভিনেত পাকিস্তানের সালমান প্রাইস মানি গ্রহণ করলেও পরে তা ছুড়ে ফেলেন এবং সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান বা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে নারাজ থাকেন।
বিসিবি প্রেসফাঁকিতে বুলবুল বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জানান, এসিসি ও বিসিসিআই-র মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। ভারত কেন ট্রফি নেয়নি সে বিষয়ে তিনি বলেন, “কিছু ব্যাপার প্রেসে বলা যাবে না।” তিনি আরও বলেন, “একদল শিরোপা নিতে আসতে দেরি করে, তারা হয়তো শিরোপা নিতে চাইনি। এ বিষয়ে এসিসি ও বিসিসিআই-এর সভা হবে। সেখানে আমিও থাকব। আমরা চেষ্টা করবো, যারা জিতেছে, তাদের শিরোপা পৌঁছে দেওয়ার।”
ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিসিসিআই-র পক্ষেও। তাদের সেক্রেটারি দেভজিৎ সাইকিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, শিরোপা ও মেডেল যত দ্রুত সম্ভব বিসিসিআই-কে পাঠানো উচিত। তিনি বলেন, “(নাকভি) সেই দেশের রাজনৈতিক নেতা (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)। তার থেকে শিরোপা নেওয়া যায় না — এর মানে এই নয় যে তিনি আমাদের অর্জিত শিরোপা নিজের কাছে রেখে দেবেন। আশা করবো, তার সুস্থ বুদ্ধির উদয় হবে এবং আমাদের ট্রফি ও মেডেলগুলো পাঠিয়ে দেবে।”
উপর্যুক্ত প্রতিক্রিয়া ও চলমান আলাপ-আলোচনার মধ্যে বর্তমানে মাঠ ও ড্রেসিংরুমে উত্তেজনা বজায় আছে। এসিসি, বিসিসিআই ও বিসিবি-র মধ্যে সমঝোতা ও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সততই প্রত্যাশিত।