ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্য ঘাটতি সত্ত্বেও রেমিট্যান্সের প্রভাবে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫২০ বার পড়া হয়েছে

বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধির পরেও দেশে শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টের (বিওপি) চলতি হিসাবে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট) উদ্বৃত্ত হয়েছে।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্টের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৪৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।

 

রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে রিজার্ভও বাড়ছে।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ দেয়া তথ্য বলছে, গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

 

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে প্রবাসী আয় প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৫ সালের মার্চে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স আসে, যা একক মাস হিসাবে সর্বোচ্চ। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের শক্তিশালী প্রবাহের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ৯ অক্টোবর পর্যন্ত নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি কিনেছে।

 

 

চলতি ২০২৫-২৬ বছর প্রথম দুই মাসে সার্বিক ব্যালান্স অব পেমেন্ট দাঁড়িয়েছে ৫৩ মিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার।

 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্তের সঙ্গে আর্থিক হিসাবে (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে) ঘাটতি আগের চেয়ে কমে আসায় সার্বিক ব্যালান্স অব পেমেন্টেরও আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

 

 

যদিও সার্বিক ব্যালান্স অব পেমেন্টে এখনো ঘাটতি রয়েছে, তবে তা আগের বছরের তুলনায় অনেক কমেছে। চলতি হিসাবকে উদ্বৃত্ত করতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। এজন্য বাণিজ্য ঘাটতি বাড়লেও চলতি হিসাবে প্রভাব পড়েনি।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ২.৯৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্টে আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৮০ শতাংশ বেড়ে ১০.৮৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯.৯১ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে রপ্তানি ১০.৭০ শতাংশ বেড়ে ৭.৯৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭.১৬ বিলিয়ন ডলার।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাস্তায় শিক্ষকদের পেটানো সভ্য রাষ্ট্রীয় চরিত্র হতে পারে না: হাসনাত

বাণিজ্য ঘাটতি সত্ত্বেও রেমিট্যান্সের প্রভাবে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত

আপডেট সময় ১০:০৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধির পরেও দেশে শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টের (বিওপি) চলতি হিসাবে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট) উদ্বৃত্ত হয়েছে।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্টের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৪৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।

 

রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে রিজার্ভও বাড়ছে।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ দেয়া তথ্য বলছে, গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

 

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে প্রবাসী আয় প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৫ সালের মার্চে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স আসে, যা একক মাস হিসাবে সর্বোচ্চ। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের শক্তিশালী প্রবাহের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ৯ অক্টোবর পর্যন্ত নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি কিনেছে।

 

 

চলতি ২০২৫-২৬ বছর প্রথম দুই মাসে সার্বিক ব্যালান্স অব পেমেন্ট দাঁড়িয়েছে ৫৩ মিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার।

 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্তের সঙ্গে আর্থিক হিসাবে (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে) ঘাটতি আগের চেয়ে কমে আসায় সার্বিক ব্যালান্স অব পেমেন্টেরও আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

 

 

যদিও সার্বিক ব্যালান্স অব পেমেন্টে এখনো ঘাটতি রয়েছে, তবে তা আগের বছরের তুলনায় অনেক কমেছে। চলতি হিসাবকে উদ্বৃত্ত করতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। এজন্য বাণিজ্য ঘাটতি বাড়লেও চলতি হিসাবে প্রভাব পড়েনি।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ২.৯৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্টে আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৮০ শতাংশ বেড়ে ১০.৮৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯.৯১ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে রপ্তানি ১০.৭০ শতাংশ বেড়ে ৭.৯৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭.১৬ বিলিয়ন ডলার।