ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চয়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ, ১৩ লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়ও দিচ্ছে: মুহাম্মদ ইউনূস

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৪২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছি, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

 

তিনি বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

 

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে, এবং মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

 

তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

নববধূ ধর্ষণের পর মোজাম্মেল বলেন— তুচ্ছ বিষয়, বঙ্গবন্ধুকে জড়াতে চাই না

১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চয়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ, ১৩ লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়ও দিচ্ছে: মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট সময় ০৯:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছি, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

 

তিনি বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

 

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে, এবং মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

 

তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।”