যে ফ্যাসিবাদী সরকার, তাদের যে প্রশাসন সেখান থেকে তাদের লোকজনকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি; একই সঙ্গে আরও একটি বিশেষ দলের লোকজনকেও নতুন করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এদিকে জুলাই সনদ এখন স্বাক্ষরের পর্যায়ে রয়েছে। বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি এই সনদে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবর সনদ স্বাক্ষরের দিন শতাধিক নেতার সমন্বয়ে গঠিত বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবে।
দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বহুল আলোচিত জুলাই সনদে সই করবেন।
এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে গণসংযোগের প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। মাঠপর্যায়ে তাদের যে প্রচার রয়েছে, সেখানে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছে দলটি। এ ক্ষেত্রে প্রচারে আরও কীভাবে গতি আনা যায় এ লক্ষ্যে দলের মিডিয়া সেল ও কমিউনিকেশন সেলকে কীভাবে আরও সক্রিয় এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাজে লাগানো যায়, সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বিএনপির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে নানামুখী অপপ্রচার চলছে, নতুন নতুন ন্যারেটিভের মাধ্যমে সেটাকে কীভাবে অ্যাড্রেস করা যায়, আলোচনা হয়েছে তা নিয়েও। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলের প্রচার-প্রচারণা আরও জোরদার করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বৈঠকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে এ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে অভিমত এসেছে, সারা দেশে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার যে প্যানেল প্রস্তুত করা হচ্ছে, সেটির অধিকাংশ কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে বিশেষ একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা এখন ওই সংগঠনের মূল দলের সঙ্গে জড়িত। এমনটা হলে নির্বাচনে তারা একটা বিশেষ দলকে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখতে পারে।




















