ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিবিরের অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর বিএনপি-ছাত্রদলের, আহত ৪

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় জামায়াতের কার্যালয়ে ছাত্রশিবিরের একটি পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের জেলা অফিস সম্পাদক সাহাব উদ্দিন ও উপজেলা দক্ষিণ সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ অন্তত ৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে কবিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

 

 

জানা গেছে, ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে মসজিদে জামাতের সঙ্গে যেসব শিক্ষার্থী ১০ দিন একটানা নামাজ আদায় করবে তাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলায় পুরস্কার বিতরণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল থেকে আব্দুল্লাহ মিয়ার হাট জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ পর্যায়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে ৮/১০ জন এসে অনুষ্ঠানে হামলা চালায়।

 

ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সেক্রেটারি আরাফাত হোসেন বলেন, সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে ১০ দিনব্যাপী জামাতে নামাজ আদায় প্রতিযোগিতার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে আবদুল্লাহ মিয়ারহাট জামায়াতের কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে বিএনপির একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। তারা চেয়ার ভাঙচুর করে।

 

 

 

শিবিরের এ নেতার অভিযোগ, হামলায় জেলার সাবেক ও বর্তমান অফিস সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদকসহ চারজন হামলার শিকার হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

তবে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি চতুর্থশ্রেণিতে পড়ুয়া তার ছেলেকে মাদ্রাসায় না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জামায়াত কার্যালয়ে দেখেন। তখন তিনি এত কম বয়সী শিক্ষার্থীকে কেন অনুষ্ঠানে আনা হয়েছে- সেটি জানতে চান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হামলা কিংবা ভাঙচুরের অভিযোগ ঠিক নয়।

 

কবিরহাট থানার ওসি শাহিন মিয়া বলেন, জামায়াতের কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে আবদুল্লাহ মিয়ারহাটে জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

 

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির কবিরহাট উপজেলা দক্ষিণ শাখা আয়োজিত, জামায়াতে নামাজ পড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি ও ছাত্রদল সন্ত্রাসীদের হামলা, অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। জেলা অফিস সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, উপজেলা দক্ষিণ সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ অনেকে আহত। আমাদের ধৈর্য্য ও সহনশীলতাকে দুর্বলতা মনে করবেন না। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ পদক্ষে৪প কামনা করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গণসংযোগে নিহত ১৫ মামলার আসামি সরওয়ার বিএনপির কেউ নন: আমীর খসরু

শিবিরের অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর বিএনপি-ছাত্রদলের, আহত ৪

আপডেট সময় ০৮:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় জামায়াতের কার্যালয়ে ছাত্রশিবিরের একটি পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের জেলা অফিস সম্পাদক সাহাব উদ্দিন ও উপজেলা দক্ষিণ সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ অন্তত ৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে কবিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

 

 

জানা গেছে, ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে মসজিদে জামাতের সঙ্গে যেসব শিক্ষার্থী ১০ দিন একটানা নামাজ আদায় করবে তাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলায় পুরস্কার বিতরণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল থেকে আব্দুল্লাহ মিয়ার হাট জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ পর্যায়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে ৮/১০ জন এসে অনুষ্ঠানে হামলা চালায়।

 

ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সেক্রেটারি আরাফাত হোসেন বলেন, সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে ১০ দিনব্যাপী জামাতে নামাজ আদায় প্রতিযোগিতার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে আবদুল্লাহ মিয়ারহাট জামায়াতের কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে বিএনপির একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। তারা চেয়ার ভাঙচুর করে।

 

 

 

শিবিরের এ নেতার অভিযোগ, হামলায় জেলার সাবেক ও বর্তমান অফিস সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদকসহ চারজন হামলার শিকার হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

তবে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি চতুর্থশ্রেণিতে পড়ুয়া তার ছেলেকে মাদ্রাসায় না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জামায়াত কার্যালয়ে দেখেন। তখন তিনি এত কম বয়সী শিক্ষার্থীকে কেন অনুষ্ঠানে আনা হয়েছে- সেটি জানতে চান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হামলা কিংবা ভাঙচুরের অভিযোগ ঠিক নয়।

 

কবিরহাট থানার ওসি শাহিন মিয়া বলেন, জামায়াতের কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে আবদুল্লাহ মিয়ারহাটে জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

 

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির কবিরহাট উপজেলা দক্ষিণ শাখা আয়োজিত, জামায়াতে নামাজ পড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি ও ছাত্রদল সন্ত্রাসীদের হামলা, অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। জেলা অফিস সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, উপজেলা দক্ষিণ সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ অনেকে আহত। আমাদের ধৈর্য্য ও সহনশীলতাকে দুর্বলতা মনে করবেন না। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ পদক্ষে৪প কামনা করছি।