ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ শিক্ষক মিলে পাশ করাতে পারেননি ৯ শিক্ষার্থীকে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৪০ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আইটপাড়া আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসায় এইচএসসি (আলিম) পরীক্ষায় ৯ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পাশ করতে পারেনি। ১৪ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও এমন ফলাফল এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

 

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১২ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল, তাদের মধ্যে ৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।

 

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহজাহান বলেন, “২০২১ সাল থেকে আমাদের মাদ্রাসায় বাংলা শিক্ষক নেই, আর ২০২২ সাল থেকে ইংরেজি শিক্ষকও নেই। শিক্ষক সংকটের কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে। বিষয়টি বারবার জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

 

অন্যদিকে, নাঙ্গলকোট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইউনুস দাবি করেন, মাদ্রাসায় ১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন এবং শিক্ষক সংকটের অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের অবহেলার কারণে এমন ফলাফল হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বছরের পর বছর শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাশ না নেওয়া ও শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাসীনতার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার মান তলানিতে নেমেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রুমিন ফারহানা ছাড়া অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে জামানত হারাবেন: নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি

১৪ শিক্ষক মিলে পাশ করাতে পারেননি ৯ শিক্ষার্থীকে

আপডেট সময় ১০:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আইটপাড়া আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসায় এইচএসসি (আলিম) পরীক্ষায় ৯ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পাশ করতে পারেনি। ১৪ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও এমন ফলাফল এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

 

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১২ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল, তাদের মধ্যে ৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।

 

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহজাহান বলেন, “২০২১ সাল থেকে আমাদের মাদ্রাসায় বাংলা শিক্ষক নেই, আর ২০২২ সাল থেকে ইংরেজি শিক্ষকও নেই। শিক্ষক সংকটের কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে। বিষয়টি বারবার জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

 

অন্যদিকে, নাঙ্গলকোট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইউনুস দাবি করেন, মাদ্রাসায় ১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন এবং শিক্ষক সংকটের অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের অবহেলার কারণে এমন ফলাফল হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বছরের পর বছর শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাশ না নেওয়া ও শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাসীনতার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার মান তলানিতে নেমেছে।