ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলফাডাঙ্গায় বিএনপির কর্মিসভায় সভাপতির আসনে আওয়ামী লীগ নেতা, সংগঠনে সমালোচনার ঝড়

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির এক কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা, যা নিয়ে সংগঠনের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। সাধারণ কর্মীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় আলফাডাঙ্গার বেজিডাঙ্গা আমেনা ওয়াহেদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সদর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মিসভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন মনিরুল ইসলাম মাসুদ মাস্টার, যিনি ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য ছিলেন।

এই কর্মিসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নৌকার প্রার্থীরাও এখন বিএনপি করতে পারে। রাজনীতির বাস্তবতা বুঝে আমাদের চলতে হয়। মাসুদ মাত্র ৬২ ভোটে পরাজিত হয়েছিল, এমন জনপ্রিয় একজন নেতাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন নামে একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, যিনি উপজেলা যুবলীগের রানা-সাইফার কমিটির সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজার ভাতিজা।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেস আলী ঈসা বলেন, “সংগঠনের বাইরের কাউকে দলীয় কর্মসূচির সভাপতি করা যায় না। এটি আদর্শভ্রষ্টতা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলার লঙ্ঘন। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিএনপির আদর্শ ও শৃঙ্খলার প্রশ্নে এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না”—ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

আলফাডাঙ্গায় বিএনপির কর্মিসভায় সভাপতির আসনে আওয়ামী লীগ নেতা, সংগঠনে সমালোচনার ঝড়

আপডেট সময় ০২:১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির এক কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা, যা নিয়ে সংগঠনের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। সাধারণ কর্মীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় আলফাডাঙ্গার বেজিডাঙ্গা আমেনা ওয়াহেদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সদর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মিসভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন মনিরুল ইসলাম মাসুদ মাস্টার, যিনি ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য ছিলেন।

এই কর্মিসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নৌকার প্রার্থীরাও এখন বিএনপি করতে পারে। রাজনীতির বাস্তবতা বুঝে আমাদের চলতে হয়। মাসুদ মাত্র ৬২ ভোটে পরাজিত হয়েছিল, এমন জনপ্রিয় একজন নেতাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন নামে একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, যিনি উপজেলা যুবলীগের রানা-সাইফার কমিটির সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজার ভাতিজা।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেস আলী ঈসা বলেন, “সংগঠনের বাইরের কাউকে দলীয় কর্মসূচির সভাপতি করা যায় না। এটি আদর্শভ্রষ্টতা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলার লঙ্ঘন। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিএনপির আদর্শ ও শৃঙ্খলার প্রশ্নে এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে।