সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কঠোর বিধিমালা চায় প্রশাসন**
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক-কর্মচারী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন—এ অবস্থাকে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। কারণ, একই ব্যক্তিরা আবার নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৬৪ জেলার ডিসি এবং আট বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাব তুলেন তারা।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, একজন ডিসি জানান—এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন মূল বেতনের পুরো অংশ সরকার থেকে পান। তাই সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণায় অংশ নেওয়া নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
২০১৩ সালের ডিসি সম্মেলনেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করে সরকারি কর্মচারীদের মতো আচরণবিধি তৈরির প্রস্তাব হয়েছিল। শিক্ষকতার পাশাপাশি ঠিকাদারি, সাংবাদিকতার মতো পেশায় যুক্ত থাকাও শিক্ষার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো নীতিমালা হয়নি।
ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধের সুপারিশ
দুজন ডিসি জানান, ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিরোধ বাড়ছে। তাই নির্বাচন আচরণবিধিতে ‘ওয়াজে রাজনৈতিক বক্তব্য নিষিদ্ধ’ ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব দেন তারা।
জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, প্রস্তাবটি মূল্যায়ন করা হবে এবং প্রয়োজন হলে কন্ট্রাক্ট রুল বা নতুন নির্দেশনা জারি করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা: ‘এ নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এবারের জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট দেশের ‘নতুন পথচলার নির্বাচন’।
তিনি জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন—
- “এটি শুধু পাঁচ বছরের সরকার গঠনের নির্বাচন নয়; এটি গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণতা দেওয়ার নির্বাচন।”
- “ভোটারদের দীর্ঘদিনের ভোটাধিকারহীনতার ক্ষত সারাতে সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তাই ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও বিশ্বমানের হওয়া জরুরি।


























