হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজনীন সুলতানা বদলির আদেশ জারির পরও কর্মস্থল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে জেলা, বিভাগ ও অধিদপ্তরীয় তিন দফা তদন্ত শেষে তাকে সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বদলি করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের অনুমোদনক্রমে ১১ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ১৩ নভেম্বর ছিল তার শেষ কর্মদিবস। তবে অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিভিন্ন কৌশলে চুনারুঘাটে থেকেই যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জয় কুমার হাজরা জানান, চুনারুঘাটে দুইজন সহকারী শিক্ষা অফিসার দায়িত্ব পালন করলেও নাজনীন সুলতানা তাদের কাউকেই দায়িত্বভার দেননি।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব না দিয়ে তিনি সাদা কাগজে চিকিৎসা ছুটির আবেদন লিখে অফিস সহকারীর কাছে রেখে চলে যান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নাজনীন সুলতানার বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তদন্তে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বদলি করা হয়েছে। এখন তিনি এখানে থাকলে চুনারুঘাটের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে নাজনীন সুলতানার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

























