বিবাহের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ একে অপরের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যান এবং শুরু হয় নতুন একটি জীবন। দাম্পত্য জীবনে সুখ-দুঃখ, চড়াই-উৎড়াই সবই আসে। এসব পরিস্থিতি ধৈর্য ও শান্তির সঙ্গে সামলানোই দীর্ঘস্থায়ী ও সফল দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি।
ইসলামে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছে নিজেকে ন্যায্যভাবে উপস্থাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে সতী স্ত্রীর মর্যাদা সর্বোচ্চ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, দুনিয়ার সব সম্পদের মধ্যে সর্বোত্তম সম্পদ হলো সতী স্ত্রী। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৬৫৬৭)
একজন পুরুষের নৈতিকতা ও চরিত্রের মানও নির্ধারিত হয় স্ত্রীর সঙ্গে তার আচরণের মাধ্যমে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে ঈমানের পরিপূর্ণ মুসলমান হলো সেই ব্যক্তি যার চরিত্র সর্বোত্তম। যেসব ব্যক্তি তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করে, তারাই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম।” (তিরমিজি, হাদিস: ১১৬২)
অতএব, স্ত্রীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার, সহনশীলতা ও যত্নশীল আচরণই একজন মানুষের প্রকৃত নৈতিক ও ধর্মীয় মর্যাদা প্রতিফলিত করে। এটি শুধু দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর রাখে না, বরং ব্যক্তির চরিত্র ও ঈমানের মাত্রাকেও প্রতিষ্ঠিত করে।


























