ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদি যুবরাজের কাছে স্বামী হত্যার ক্ষতিপূরণ চাইলেন খাশোগির স্ত্রী

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০১:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগির স্ত্রী হানান এলাত সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তার স্বামীকে হত্যার বিচার চেয়েছেন।

 

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হানান এলাত যুবরাজকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এরআগে, মঙ্গলবার ট্রাম্পের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘তাঁর (সৌদি যুবরাজ) উচিত আমার সামনে এসে আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া। আমার যা ক্ষতি হয়েছে, তা মিটিয়ে দিতে হবে তাকে।’

 

 

 

 

 

সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হানান এলাত বলেন, ‘তাকে ওয়াশিংটনে দেখা আমার জন্য খুবই বেদনাদায়ক। তিনি একজন রাষ্ট্রপ্রধান, হতে পারেন কিন্তু প্রকৃত শাসক নন। জামালের হত্যাকাণ্ড আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে।’

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে আলিঙ্গনপূর্ণ স্বাগত জানানোর ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন এলান। এএফপি-কে তিনি বলেন, ‘এটি আমাকে খুবই ব্যথিত করেছে, এবং এটি হতাশাজনক।’

 

জামাল খাশোগি ২০১৮ সালে হত্যার শিকার হন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদি আরবের হাত রয়েছে। খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন এবং ওয়াশিংটন পোস্টে সৌদি সরকারের সমালোচনামূলক লেখা প্রকাশ করতেন।

 

ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের প্রশাসন যে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করে, তাতে বলা হয়েছিল ক্রাউন প্রিন্সই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, তার অতিথি সে বিষয়ে জানতেন না। আর যুবরাজ সালমানের এটি ছিল ২০১৮ সালে খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম হোয়াইট হাউস সফর।

 

খাশোগির স্ত্রী বিষয়টিতে খুবই মর্মাহত। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমি তার (জামাল) বিধবা হিসেবে আমার ন্যায্য ক্ষতিপূরণও দাবি করছি। যুবরাজ ২০১৯ সালে ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে স্পষ্ট বলেছিলেন, সৌদি আরবের কার্যত নেতা হিসেবে তিনি ‘জামাল খাশোগির হত্যার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছেন’…বিশেষ করে যেহেতু এটি সৌদি সরকারের কর্মরত ব্যক্তিরা করেছেন। ওই ঘটনার একটি মীমাংসা বা ক্ষতিপূরণ হবে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আমার ও আমার স্বামীর প্রতি জবাবদিহি বাস্তবায়নের একটি সদিচ্ছা, যার মাধ্যমে বিষয়টি চিরতরে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা-কামালকে ফেরাতে সরকারের নতুন কৌশল

সৌদি যুবরাজের কাছে স্বামী হত্যার ক্ষতিপূরণ চাইলেন খাশোগির স্ত্রী

আপডেট সময় ০১:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগির স্ত্রী হানান এলাত সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তার স্বামীকে হত্যার বিচার চেয়েছেন।

 

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হানান এলাত যুবরাজকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এরআগে, মঙ্গলবার ট্রাম্পের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘তাঁর (সৌদি যুবরাজ) উচিত আমার সামনে এসে আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া। আমার যা ক্ষতি হয়েছে, তা মিটিয়ে দিতে হবে তাকে।’

 

 

 

 

 

সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হানান এলাত বলেন, ‘তাকে ওয়াশিংটনে দেখা আমার জন্য খুবই বেদনাদায়ক। তিনি একজন রাষ্ট্রপ্রধান, হতে পারেন কিন্তু প্রকৃত শাসক নন। জামালের হত্যাকাণ্ড আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে।’

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে আলিঙ্গনপূর্ণ স্বাগত জানানোর ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন এলান। এএফপি-কে তিনি বলেন, ‘এটি আমাকে খুবই ব্যথিত করেছে, এবং এটি হতাশাজনক।’

 

জামাল খাশোগি ২০১৮ সালে হত্যার শিকার হন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদি আরবের হাত রয়েছে। খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন এবং ওয়াশিংটন পোস্টে সৌদি সরকারের সমালোচনামূলক লেখা প্রকাশ করতেন।

 

ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের প্রশাসন যে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করে, তাতে বলা হয়েছিল ক্রাউন প্রিন্সই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, তার অতিথি সে বিষয়ে জানতেন না। আর যুবরাজ সালমানের এটি ছিল ২০১৮ সালে খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম হোয়াইট হাউস সফর।

 

খাশোগির স্ত্রী বিষয়টিতে খুবই মর্মাহত। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমি তার (জামাল) বিধবা হিসেবে আমার ন্যায্য ক্ষতিপূরণও দাবি করছি। যুবরাজ ২০১৯ সালে ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে স্পষ্ট বলেছিলেন, সৌদি আরবের কার্যত নেতা হিসেবে তিনি ‘জামাল খাশোগির হত্যার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছেন’…বিশেষ করে যেহেতু এটি সৌদি সরকারের কর্মরত ব্যক্তিরা করেছেন। ওই ঘটনার একটি মীমাংসা বা ক্ষতিপূরণ হবে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আমার ও আমার স্বামীর প্রতি জবাবদিহি বাস্তবায়নের একটি সদিচ্ছা, যার মাধ্যমে বিষয়টি চিরতরে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।’