ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে তুলার গুদাম আগুন—ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মালামাল উদ্ধার করে প্রশংসায় ভাসছেন ওসি খালিদ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৪২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬৮১ বার পড়া হয়েছে

 

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল কুদাব পশ্চিম পাড়া এলাকায় তুলার একটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সময় মানবিক ও সাহসী ভূমিকার নজির রাখলেন পূবাইল থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে আগুন লাগার পর মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি নিজের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে ভেতরে ঢুকে মাথায় করে মালামালের বস্তা বাইরে নিতে শুরু করেন। তার এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে চারদিকে প্রশংসার জোয়ার বয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, আগুনের তীব্রতায় প্রথমে কেউই গুদামে ঢোকার সাহস পাননি। কিন্তু ওসিকে সামনে দেখে তারা সাহস পান এবং উদ্ধার কাজে যুক্ত হন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।

আগুনে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখতে ওসির দ্রুত পদক্ষেপ ভূমিকা রাখে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসও। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুবাইল থানার এসআই নাজমুল হক বলেন, “ওসি স্যার বস্তা মাথায় করে বের করতে শুরু করতেই মানুষ সাহস পেয়েছে। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন।”

স্থানীয়রা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন—‘এমন পুলিশই চেয়েছিলাম।’

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন মাসুদের সহযোগী কবির আটক

গাজীপুরে তুলার গুদাম আগুন—ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মালামাল উদ্ধার করে প্রশংসায় ভাসছেন ওসি খালিদ

আপডেট সময় ১০:৪২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

 

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল কুদাব পশ্চিম পাড়া এলাকায় তুলার একটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সময় মানবিক ও সাহসী ভূমিকার নজির রাখলেন পূবাইল থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে আগুন লাগার পর মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি নিজের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে ভেতরে ঢুকে মাথায় করে মালামালের বস্তা বাইরে নিতে শুরু করেন। তার এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে চারদিকে প্রশংসার জোয়ার বয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, আগুনের তীব্রতায় প্রথমে কেউই গুদামে ঢোকার সাহস পাননি। কিন্তু ওসিকে সামনে দেখে তারা সাহস পান এবং উদ্ধার কাজে যুক্ত হন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।

আগুনে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখতে ওসির দ্রুত পদক্ষেপ ভূমিকা রাখে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসও। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুবাইল থানার এসআই নাজমুল হক বলেন, “ওসি স্যার বস্তা মাথায় করে বের করতে শুরু করতেই মানুষ সাহস পেয়েছে। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন।”

স্থানীয়রা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন—‘এমন পুলিশই চেয়েছিলাম।’